• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

সোনাগাজীর ৩৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক


ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম
সোনাগাজীর ৩৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

ফেনীর সোনাগাজীর ১১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। এসব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এতে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার কার্যক্রম। এদিকে ওই বিদ্যালয়গুলোতে ৬৭টি সহকারী শিক্ষকের পদও দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপকূলীয় এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৮টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪১টি বিদ্যালয়ে সরাসরি প্রধান শিক্ষক এবং ৩১টি বিদ্যালয়ে ‘চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত’ প্রধান শিক্ষক দিয়ে পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজ করানো হচ্ছে।

এদিকে সহকারী শিক্ষকের ৬৭২টি পদের মধ্যে ৬৭টি পদ শূন্য রয়েছে।

জানা যায়, প্রধান শিক্ষক-শূন্য বিদ্যালয়গুলোতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা। এতে স্কুল পরিচালনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন শেষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। ফলে ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের পাঠ কার্যক্রম।

শিক্ষকরা জানান, সহকারী শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককেও দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি অনেক ক্লাস নিতে হয়। আবার প্রধান শিক্ষক না থাকলে সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। দাপ্তরিক কাজ করতে গিয়ে তারা ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারছেন না।

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সোনাগাজী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম বলেন, “প্রধান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অভিভাবকহীন। পদ শূন্য থাকায় প্রধান শিক্ষকের কাজ অন্য আরেকজন শিক্ষককে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে করতে হচ্ছে। দায়িত্বের কারণে পাঠদানের পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ, শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণ, সভা-সেমিনারে অংশ নেওয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়।”

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুর রহমান বলেন, “শিক্ষক সংকট থাকলেও মানসম্মত পাঠদানের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। শিক্ষার্থীরা যেন যথাযথভাবে পাঠ্য গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যে শিক্ষকদের প্রতি আমাদের নজরদারি রয়েছে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের ৩৮টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিলে শিক্ষকসংকট দূর হবে। যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে সেগুলোর তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই প্রধান শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ হবে।”

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। এটির জন্য প্রক্রিয়া চলছে। তবে কবে নাগাদ হবে এটি নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, কিন্তু হয়ে যাবে আশা করছি।”

Link copied!