• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে বাড়ছে পানি, বন্যার শঙ্কা


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে বাড়ছে পানি, বন্যার শঙ্কা

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে কুড়িগ্রামের সব নদ–নদীর পানি। গত দুইদিন থেকে দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৯ উপজেলার প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এসব অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।

সদর উপজেলার চর ইয়ুথনেটের বাসিন্দা মো. মাসুদ রানা বলেন, “ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ার কারণে আমাদের ঘরের মধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। চলাচলে খুব অসুবিধা হয়েছে।”

ভোগডাঙা ইউনিয়নের বাসিন্দা আলো বেগম বলেন, “ধরলার পানি বাড়ার কারণে হামার ৩টা ঘর তলে গেছে। বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। রান্না করার খুব অসুবিধা হইছে।”

কুটিরচরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, “বাহে হামার এট্টি দুধকুমারের পানি ঢুকি এখানকার সোগ বাড়ি-ঘর তলে গেইছে। হামরাগুলা সগাই ঘরের খাটত কষ্ট করি আছি।”

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার, তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, ধরলা সদর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ধরলা ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। আমাদের বন্যা পূর্বাভাস অনুযায়ী ১৮-১৯ জুলাইয়ের দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। এতে নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।”

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, “স্বল্পমেয়াদী বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার মজুত ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে।” 

Link copied!