মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে ননদ-ভাবীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা একটি মামলায় আসামি তরুণ তালুকদার নামের এক যুবককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জ আমলী আদালত-৬ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম ওই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে নির্যাতিতা কিশোরীর (১৫) বাবা অভিযুক্ত তরুণ তালুকদারের বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় মামলা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরীর দিনমজুর বাবা গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন স্বপরিবারে লৌহজং উপজেলার কালুরগাঁও গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকেন। ঘটনার দিন কাজ শেষে বাড়িতে এসে জানতে পারেন বাড়ির পাশের দোকানদার আলাউদ্দিন তালুকদারের ছেলে তরুণ তালুকদার তার কিশোরী মেয়ে ও তার ভাইয়ের ছেলের স্ত্রীকে নির্যাতনের চেষ্টা করেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, “অভিযুক্ত তরুণ তালুকদারকে আমি মামা বলে ডাকি। তাবিজ ও ‘চিরুণী পড়া’ এনে দেওয়ার কথা বলে সে আমাকে ডেকে নেয়। এরপর আমার মুখ চেপে ধরে দোকানের ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আমাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমাকে বেঁধে আমার ভাবীকে ডেকে নিয়ে আসে।”
ওই কিশোরীর নির্যাতিতা ভাবী (১৮) বলেন, “আমাকে তরুণ মামা দোকানের সামনে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পরে জোর করে দোকানের ভেতর নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। সেখানে গিয়ে আমার ননদকে বিবস্ত্র ও মুখ বাধা অবস্থায় দেখতে পাই। তরুণ তালুকদার আমাকে জাপ্টে ধরে?”
ওই নারী আরও জানান, তার ননদ এক ছেলেকে পছন্দ করেন, কিন্তু ছেলেটি তাকে পছন্দ করে না। ওই ছেলে কিশোরীকে পছন্দ করবে এ আশ্বাস দিয়ে তরুণের কাছে তাবিজ আছে বলে তার ননদকে দোকানের ভেতর নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাকে বিবস্ত্র করে কাপড় লুকিয়ে রাখে। তিনি বলেন, “আমাকে ডেকে নিয়েও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে আমি তরুণের হাতে কামড় দিই এবং চিৎকার করি, তখন সে পালিয়ে যায়।”
ঘটনার বিষয়ে গাওদিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোশারফ হোসেন বেপারী বলেন, “ঘটনার একদিন পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে তরুণ তার মুদি ও মুড়ি বিক্রির দোকানে নিয়ে এক কিশোরী ও তার ভাবিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমরা চাই এ জঘন্য কাজের উপযুক্ত বিচারক হোক।”
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, “আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আপনার মতামত লিখুন :