• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আলুর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক


নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৫:২৫ পিএম
আলুর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

গতবারের তুলনায় এবার নওগাঁ জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। একই সঙ্গে ভালো দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

জেলার মাঠে মাঠে আগাম জাতের আলু উত্তোলন করছেন কৃষকরা। আলুচাষিরা জানান, অনুকুল আবহাওয়া ও সময়মতো সার বীজ পাওয়ায় ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এখন যারা আলু বিক্রি করছেন, তারা সবাই লাভবান হচ্ছেন।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম প্রতি মণে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে বৃদ্ধি পেলে আগামী সপ্তাহে যারা আলু তুলবেন, তারা ফলনের সঙ্গে মোটা অঙ্কের লাভের মুখ দেখবেন, এমনটাই আশা করছেন কৃষকেরা।

নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতমা, গুজিশহর ও মান্দা উপজেলার আয়ুর পাড়া মাঠসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা নারী শ্রমিক নিয়ে আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব মাঠে মিউজিকা, গ্যানোলা, ক্যারেজ, ডায়মন্ড, রোমানা, পাকরি ও স্ট্রিক জাতের আলু তুলতে শুরু করেছেন।

মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া হাটে আলু বিক্রি করতে আসা কৃষকরা জানান, বাজারে প্রতি মণ ক্যারেজ আলু ৭২০ থেকে ৭৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর লাল স্ট্রিক আলু ৬৫০ থেকে ৬৭০ টাকা মণ।

৫০ শতক জমিতে আগাম জাতের মিউজিকা আলু চাষ করেছেন নিয়ামতপুর উপজেলার কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন। জাহাঙ্গীর বলেন, “রোপণের ৬০ দিন বয়সে আলু তুলেছি। জমিতে ফলন হয়েছে ৯০ মণ। ফসলের উৎপাদন খরচ হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। ৭২০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি করেছি ৬৫ হাজার টাকায়। তাতে লাভ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। মাঠে আরও আলু আছে।”

গুজিশহর পাইকার সাইফুল ইসলাম বলেন, “বাজারে এখন আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করেছে। এসব আলু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে। কাঁচামালের মূল্য সঠিকভাবে বলা যায় না। তবে গত সপ্তাহ থেকে মোকাগুলোতে আলুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম প্রতি মণে এক থেকে দেড় শ টাকা বেড়েছে। আমদানির ওপর দাম ওঠানামার বিষয় নির্ভর করবে।”

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২০ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি আলু ১৮ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সে হিসাবে এ বছর জেলায় মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৪৭ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, “বাজারে রোমানা পাকরি ও দেশী পাকরি (লাল) আলু ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এই আলু এক সপ্তাহ পূর্বে ১০৫০ থেকে ১০৮০ টাকা মণ ছিল। আর মিউজিকা আলু বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৩০ টাকা মণ। এই আলু গত সপ্তাহে ছিল ৬৫০ থেকে ৬৭০ টাকা মণ। সব খরচ বাদ দিয়ে এবার চাষিরা লাভের মুখ দেখছেন। কারণ বাহিরের অনেক দেশই বাংলাদেশের আলু নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সবকিছু মিলে দেশে-বিদেশে এবার আলুর চাহিদা রয়েছে। এবার আলুর দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

Link copied!