• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তার ৩৭ বছরের কারাদণ্ড


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তার ৩৭ বছরের কারাদণ্ড
প্রতীকী ছবি

ক্ষুদ্র বিনিয়োগ দেখিয়ে ৭ কোটি ৮ লাখ ৫০০ টাকা আত্মসাতের মামলায় নূর মোহাম্মদ বাশার নামের ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক এক কর্মকর্তাকে ৩৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) নোয়াখালীর বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় দেন। রায়ে সঙ্গে তাকে ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি ও জজ আদালতের আইনজীবী মো. আবুল কাশেম নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত নূর মোহাম্মদ বাশার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শাখায় এসবিআইএস সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কমলনগর উপজেলার চরজগবন্ধু গ্রামের বাসিন্দা।

আদালতের নথি অনুযায়ী, নুর মোহাম্মদ ওরফে বাশার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শাখায় এসবিআইএস সুপারভাইজার পদে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। নূর মোহাম্মদ বাশার এ সময় পর্যন্ত জাল, ভুয়া, তঞ্চক কাগজপত্রকে খাঁটি হিসেবে ব্যাংকে জমা দেন। পরে ভুয়া গ্রাহকদের নামে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ দেখিয়ে ব্যাংকের ৭ কোটি ৮ লাখ ৫০০ টাকা আত্মসাত করেন বাশার। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হস্তান্তর করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তৎকালীন দুদকের উপসহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মেদ।

বৃহস্পতিবার মামলাটি শুনানি শেষে আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত অভিযুক্ত আসামি নূর মোহাম্মদ বাশারকে বিভিন্ন ধারায় সর্বমোট ৩৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, নুর মোহাম্মদ ওরফে বাশার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শাখায় এসবিআইএস সুপারভাইজার পদে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। এ সময় জাল, ভুয়া, তঞ্চক কাগজপত্র করে সেগুলোকে খাঁটি হিসেবে ব্যাংকে দাখিল করেন। পরে ভুয়া গ্রাহকদের নামে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ দেখিয়ে ব্যাংকের সাত কোটি আট লাখ পাঁচশ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!