• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অ্যাসিড ছুড়ে পোশাককর্মীকে হত্যার দায়ে সাবেক স্বামীর মৃত্যুদণ্ড


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম
অ্যাসিড ছুড়ে পোশাককর্মীকে হত্যার দায়ে সাবেক স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
আদালতের সামনে মো. নাঈম মল্লিক। ছবি : সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পোশাককর্মী মোসাম্মত সাথী আক্তারের ওপর অ্যাসিড ছুড়ে হত্যা করার দায়ে সাবেক স্বামী মো. নাঈম মল্লিককে (৩১) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এ রায় দেন।

অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মথুর নাথ সরকার রায়ে সন্তুষ্ট বলে জানান। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

নিহত সাথী আক্তার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কাটাখালী ফেরাজীপাড়ার আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। তিনি ঢাকার ধামরাইয়ের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।

দণ্ডাদেশ পাওয়া নাঈম মল্লিক সদর উপজেলার বেতিলা এলাকার বাসিন্দা ও সাথী আক্তারের সাবেক স্বামী।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সাবেক স্ত্রী সাথী আক্তারের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন নাঈম মল্লিক। অ্যাসিডে সাথীর হাত-মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। ওইদিন রাতেই গুরুতর অবস্থায় সাথীকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

ঘটনার ১২ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাথী আক্তারের মৃত্যু হয়। পরে এই ঘটনায় নিহতের মামা লাল মিয়া বাদী হয়ে ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সাটুরিয়ায় থানায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে নাঈম মল্লিককে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল নাঈম মল্লিককে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। আদালতের বিচারক উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আসামির উপস্থিতিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশের রায় ঘোষণা করেন।

পারিবারিক কলহ ও যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের জেরে ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নাঈম মল্লিকের সঙ্গে সাথী আক্তারের ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর সাথী সাটুরিয়ায় বাবার বাড়িতে থেকে ধামরাই উপজেলার একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!