• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ভোলায় জেঁকে বসেছে শীত, বিপর্যস্ত জনজীবন


ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩, ১২:৫১ পিএম
ভোলায় জেঁকে বসেছে শীত, বিপর্যস্ত জনজীবন

সারা দেশের মতো ভোলায়ও জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়া, ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ভোলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীতে খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাজের বের হচ্ছেন খুব কষ্টে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

সরেজমিনে ভোলার বিভিন্ন নদীতীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভোলার হতদরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষের জনজীবন। কয়েক দিন ধরে ভোলায় কনকনে বাতাস, ঘন কুয়াশা ও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে আসায় জেঁকে বসেছে শীত।

ভোলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাহাবুব রহমান জানান, ভোলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ২ কিলোমিটার। এ আবহাওয়া ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এদিকে শীতের তীব্রতা, ঘন কুয়াশা আর আকাশে মেঘ থাকায় দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বইছে কনকনে হিমেল হাওয়া। তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কেউ আবার কাজ বন্ধ করে বসে আগুন পোহাচ্ছেন।

ভোলায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী উপকূলের তিন লাখ বাসিন্দা। বিশেষ করে জেলে এবং কৃষকদের জীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। চারদিকে কুয়াশা আর বাতাস থাকায় চরম ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছেন না তারা। পাশাপাশি গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে জেলার ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী।

ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীসংলগ্ন তুলাতলী এলাকার জেলে হাসেম মাঝি, বিল্লাল হোসেন ও আল-আমিন জানান, কয়েক দিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় তারা নদীতে মাছ শিকার করতে যেতে পারছে না। তীরে বসে জাল বোনার পাশাপাশি আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

একই উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষক আব্বাস আলী ও জয়নাল মিয়া জানান, তীব্র ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণে ফসলের মাঠে কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। মাটিতে পা দিতেই কষ্ট হচ্ছে তাদের। এতে করে একদিকে যেমন তাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটছে, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলের চারাগাছ।

উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ৬৫ বছরের বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম বলেন, “কয়েক দিনের শীতে আমরা কাবু হয়ে গেছি। আমাদের শীতের সম্বল ছেঁড়া কাঁথা। এ দিয়ে কোনোমতে শীত পার করছি।”

ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী জানান, খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট লাঘবে জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী এলাকার পাশাপাশি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৩৬ হাজার ৩০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

Link copied!