যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া বল সাদৃশ্য বস্তু দিয়ে খেলার সময় বিস্ফোরণ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। আহত হয়েছে আরও দুই শিশু। তারা সম্পর্কে ভাই-বোন।
সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে আটটার দিকে শহরের শংকরপুর এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে দুপুরের দিকে শিশু খাদিজা খাতুন (৫) মারা যায়। অন্য আহত শিশুরা হলো- সজিব হোসেন (৬) ও আয়েশা খাতুন (৩)। তারা তিনজনই শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার শাহাদত হোসেনের সন্তান।
হতাহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিশুরা ছোটনের মোড়ের পাশে একটি মাঠে খেলা করছিল। খেলার সময় খাদিজা বলের মতো একটি বস্তু (ককটেল) কুড়িয়ে পায়। বাসায় এনে অন্য দুই ভাই-বোনের সঙ্গে খেলার সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়।
বিস্ফোরণে খাদিজা ও সজিব গুরুতর আহত হয় এবং আয়েশা আঘাত পায়। স্থানীয় লোকজন এবং শিশুদের স্বজনরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে খাদিজা মারা যায়। খাদিজাতুলের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আহত ছেলের জন্য ওষুধপত্র কেনায় হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন বাবা শাহদাত হোসেন। তিনি বলেন, “কুড়িয়ে পাওয়া এক বোমার বিস্ফোরণে মেয়েকে হারালাম। ছেলেটির একটি হাত উড়ে গেছে। পেটের নাড়ি বেরিয়ে গেছে। তাকে বাঁচাতে পারব কি না, আল্লাহ জানে। বাবা হয়ে এই কষ্ট আমি কেমনে সহ্য করব!”
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম বলেন, বিস্ফোরিত বোমার আঘাতে খাদিজার পেটের নাড়িভুঁড়ি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এবং সজীবের একটি হাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি কেটে ফেলতে হয়েছে।
এদিকে বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, “বোমার বিস্ফোরণে দুই শিশু গুরুতর আহত হয়। পরে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বোমাটি কোথা থেকে এলো, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”