• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জয়পুরহাটে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
জয়পুরহাটে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা

জয়পুরহাটে পাঁচবিবি উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ও তার ক্যাডার বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন ৪ সাংবাদিক।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ফিচকারঘাট পিরপাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।

হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন মাছরাঙা টিভির জেলা সংবাদদাতা আল মামুন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের জেলা প্রতিনিধি জুয়েল শেখ, বাংলার দুতের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক এবং সংবাদ সারাবেলার পাচঁবিবি উপজেলা প্রতিনিধি বাবুল হোসেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ফিচকাঘাট পিরপাল এলাকায় আদিবাসী এক নারীর একটি জমি মহিপুর হাজী মহসিন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল দখল করে ১৪৪ ধারা অমাণ্য করে ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করছিলেন। আদিবাসীদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান।

পরে ভিডিও করার একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল ও তার ক্যাডার বাহিনী অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় তারা সাংবাদিকদের লাঠিসোঠা দিয়ে মারধর করে তাদের মোবাইল ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা তাদের উদ্ধার করে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আল মামুন বলেন, “আমরা আদিবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পাই যে, তার জমি অবৈধভাবে দখল করে ১৪৪ ধারা অমান্য করে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল মাটি উত্তোলন করছিলেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তুলে সেই জমির কাগজপত্র দেখছিলাম। এসময় কিছু বোঝার আগেই মাহমুদুল তার ক্যাডার বাহিনীসহ আমাদের ওপর হামলা করে।

জয়পুরহাট সাংবাদিক ঐক্য জোটোর সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

পাঁচবিবি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, “সাংবাদিক সমাজের দর্পন। অন্যায়, অনিয়ম তুলে ধরাই তাদের কাজ। কিন্তু এ কারণে যদি সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয় তাহলে সাংবাদিকরা কোথায় যাবে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সান বিন আহসান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!