পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে পুকুর ভরাট করার অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জানে আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস নামের একজন আইনজীবী রাজশাহীর পরিবেশ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ইউএনও ছাড়াও অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গোদাগাড়ীর একটি পুকুর ভরাট নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে বলা হয়, গোদাগাড়ী সদর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর মৌজায় একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। শূন্য দশমিক ৫৮ একরের এই পুকুরটি ১৮৮ নম্বর জেএল এর ২৮৫ নম্বর দাগে অবস্থিত। এটি এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি। উপজেলা ভূমি অফিসের খাতার রেকর্ড অনুযায়ী, এই জমির শ্রেণি পুকুর। এই পুকুরটিই ভরাট করছে উপজেলা প্রশাসন।
মামলার বাদী সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস জানান, জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ তার দৃষ্টিতে এলে তিনি জনস্বার্থে মামলা করেছেন। প্রকাশিত সংবাদের ফটোকপিও আদালতে দেওয়া হয়েছে। তার পক্ষে মামলাটি ফাইলিং করেছেন আইনজীবী রায়হান কবীর। আদালতের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু তালেব মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২২ মে শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন। সেদিন পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শকের উপস্থিতিতে শুনানি হবে।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মো. জানে আলম জানান, যেখানে মাটি ফেলা হচ্ছে সেখানে কোনো পুকুর নেই। স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু অনেক আগেই পুকুর ভরাট করে নিজেরা ভোগদখল করতেন। তারা সেটি উদ্ধার করেছেন। এখন হয়রানি করার জন্যই তারা আদালতে তার বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :