• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দিনাজপুরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম


দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩, ০৯:৫৬ পিএম
দিনাজপুরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পর জেলার বিভিন্ন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে।

বুধবার (৭ জুন) সকালে জেলা শহরের বাহাদুর বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে সোমাবার (৩ জুন) আড়াই মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৬০ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আমদানি কার্যক্রম।

এদিকে তিন দিনের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতা মহলে। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের বাজারদর কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

বাহাদুর বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমাবার এই বাজারে দেশি জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে। তিন দিনের ব্যবধানে দেশি জাতের এই পেঁয়াজে দাম কমেছে প্রায় ১০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দর প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও ক্রেতাসমাগম নেই।

অপর দিকে হিলিস্থল বন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশি জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজের বাজার দর প্রতি কেজি ৩০ টাকা। জানা গেছে, এন আলম, বিকে, বিএস, রায়হাট, সালাম, সালেহা ট্রেডার্সসহ সততা বাণিজ্যালয় নামের সাতটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মোট ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।

বাহাদুর বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা খাজির হোসেন বলেন, “কয়েক দিন আগে ৮০-৯০ টাকায় পেঁয়াজের দাম কল্পনাই করা যায়নি। কয়েক দিন আগে পেঁয়াজ কিনতে এসে ঘুরে গেছি। বাড়িতে কিছু পেঁয়াজ ছিল, ওগুলো দিয়ে চালিয়েছি। আজকে বাজারে এসে শুনি পেঁয়াজের দাম কমেছে। ভারতের পেঁয়াজ কিনলাম ৪০ টাকা দিয়ে। খবরটা শুনে বেশ ভালো লাগছে।”

জনি ইসলাম নামের এক পেঁয়াজ ক্রেতা বলেন, “দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ৬০ টাকা দিয়ে। কয়েক দিন আগে এত দাম রে ভাই। কেনাই যায় না। পেঁয়াজের দাম কমাতে খুবই ভালো লাগছে। কয়েকদিন আগে ৮০ টাকার বাজারে খুবই বিরক্ত লাগছিল। আজ অনেক ভালো লাগছে। এভাবে অন্যান্য জিনিসপত্রের দামগুলো কমালে ভালো হয়।”

বাহাদুর বাজারে খুচরা বিক্রেতা মাজিদুর বলেন, “পেঁয়াজের দাম কমাতে আমাদের লোকসান হইছে ভাই। আমাদের আগে বেশি দামে পেঁয়াজ কেনা ছিল। দাম কমাতে এখন কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”

মেসার্স দিনাজপুর ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী মজিবর রহামান বলেন, “আজকে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢুকছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। গত তিন আগে বিক্রি হচ্ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢোকাতে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে।”

হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, “ভারতীয় পেঁয়াজ আসার আগে বাজারে যে পেঁয়াজ ছিল তা বিক্রি হচ্ছিল ২ হাজার ৮০০ টাকা মণ। এখন বর্তমানে ওই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা মণ। ওই পেঁয়াজ আসত পাবনা থেকে। ভারতীয় পেঁয়াজ আসার পরে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। এখন দেশি পেঁয়াজের দামও কমে যাবে।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!