• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচনের আগে বিএনপির বুদ্ধির উদয় হবে: কৃষিমন্ত্রী


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩, ০৬:৩৭ পিএম
নির্বাচনের আগে বিএনপির বুদ্ধির উদয় হবে: কৃষিমন্ত্রী

নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় সরিষার মাঠ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, “২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সংসদ নির্বাচন হবে। সে পর্যন্ত বিএনপির হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ, গণঅবস্থান, মানববন্ধনসহ আন্দোলন আন্দোলন খেলা চলতে থাকবে।”

নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আর তারা যদি মনে করে সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সেটি অবাস্তব ও সংবিধান বিরোধী। দেশে সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।”

আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবে- এটি বিএনপির অবাস্তব ও অলীক স্বপ্ন বলে মনে করেন তিনি।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচনকে তারা (বিএনপি) মেনে নেয়নি। ২০১৪ সালের নির্বাচনকে তারা বর্জন করে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালে একটানা ৯০ দিন হরতাল অবরোধ করেছে। মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে।”

শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবেন না বলে খালেদা জিয়া বিএনপির অফিসে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য যোগ করেন, “৯০ দিন আন্দোলনের পর মুখে কালিমা মেখে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন। তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সুবোধ বালকের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল।”

ভোজ্যতেলের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “ভোজ্যতেলের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। এ অবস্থায়, দেশে ৫০ ভাগ তেল উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে তিন বছর মেয়াদি রোডম্যাপ আমরা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। প্রথম বছরেই এবার সারা দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে।”

‘সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যেই আমরা বছরে ভোজ্যতেল আমদানিতে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারব’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “শুধু সরিষার আবাদ বৃদ্ধিই নয়, এর সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে মৌচাষ ও মধুর উৎপাদন।”

আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে পতিত জমিতে সরিষার আবাদ হওয়ায় ধানের উৎপাদন কমছে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “একইসঙ্গে কৃষকরা অতিরিক্ত ফসল হিসেবে এই সরিষা পেয়ে লাভবান হচ্ছেন। সরিষা চাষিরা যাতে সরিষার ভালো দাম পান, এ বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাশার প্রমুখ।

Link copied!