বাংলাদেশি ট্রাকচালকের মরদেহ ফেরত দিতে বিএসএফ বাধা দেওয়ায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন বেনাপোল ট্রাক লরী মোটর শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়। সংগঠনের নেতারা জানান, ট্রাকচালকের মরদেহ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত কোনো আমদানি-রপ্তানি হবে না।
বেনাপোল ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন জানান, বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে ফরিদপুরের গোল্ডেন জুট ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে একটি ট্রাকে ২৩৫ বেল পাটজাতীয় পণ্য নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে যান। ট্রাকে থাকা মালামাল খালি না হওয়ায় রাতে তিনি পেট্রাপোল বন্দরে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ রাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সেখানে তার মৃত্যু হয়। মরদেহটি ফেরত চেয়ে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অনুরোধ করা হলেও তারা ফেরত দিচ্ছে না।
বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “পেট্রাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন। এখানকার শ্রমিক সংগঠনের নেতারা স্পস্ট করে তাদের জানিয়ে দিয়েছেন মরদেহ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।”
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সূত্র জানায়, বুধবার বাংলাদেশি ট্রাকচালক নাজমুস শাহাদাত বাবুল ফরিদপুরের গোল্ডেন জুট মিলের পাটজাতীয় পণ্য নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আসেন। তার ট্রাকে থাকা মালামাল খালি না হওয়ায় সে পেট্রাপোল বন্দরে রাতে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ রাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর লাশ হস্তান্তর করা হবে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম বাংলাদেশি ট্রাকচালকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ময়নাতদন্ত সম্পন্ন ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ ভারতের বন্দর কর্তৃপক্ষ হস্তান্তর করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।”