• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশ, রিমান্ডের পর কারাগারে ১১ রোহিঙ্গা


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম
অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশ, রিমান্ডের পর কারাগারে ১১ রোহিঙ্গা
আদালত প্রাঙ্গণে আসামিরা। ছবি : প্রতিনিধি

মিয়ানমার থেকে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ২৩ রোহিঙ্গার মধ্যে ১১ জনকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১২ রোহিঙ্গার মধ্যে অসুস্থ একজন ছাড়া অপর ১১ জনকে তিন দিনের রিমান্ডের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিন দিনের রিমান্ড শেষে ১১ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যার আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার।

নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, “প্রথম দফায় নিয়ে যাওয়া ১১ রোহিঙ্গা রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় অপর ১১ রোহিঙ্গাকে সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রথম দফায় ১১ জনের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে যাচাই-বাছাই করা হবে।”

নাছির উদ্দিন মজুমদার আরও বলেন, “প্রথম দফায় ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে এই ১১ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। আদালত ২৩ রোহিঙ্গার মধ্যে অসুস্থ একজন ছাড়া অপর ২২ জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

গ্রেপ্তার অনুপ্রবেশকারীরা হলেন, উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্পের মো. হোসেন আহমদ, একই ক্যাম্পের মো. রফিক, আয়াতুল্লাহ, ৯ নম্বর ক্যাম্পের মো. জুনাইদ, একই ক্যাম্পের মো. হারুন, মো. কায়সার, মো. সাবের, ১০ নম্বর ক্যাম্পের ওসামা, একই ক্যাম্পের ওমর ফারুক, মো. সাদেক, হারুন অর রশিদ, ইয়াসিন আরাফাত, মো. ইসমাইল, মো. রহিম, ১১ নম্বর ক্যাম্পের নজু মোল্লা, ১৫ নম্বর ক্যাম্পের সৈয়দ উল্লাহ, একই ক্যাম্পের হাফেজ আহমেদ, ২০ নম্বর ক্যাম্পের মো. জোবায়ের, কুতুপালং এলাকার ৬ নম্বর ক্যাম্পের আব্দুল্লাহ, একই এলাকার ৩ নম্বর ক্যাম্পের এনামুল হাসান, ২ ক্যাম্পের মো. রফিক, একই ক্যাম্পের সৈয়দুল ইসলাম, ৭ নম্বর ক্যাম্পের মো. আরমান।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যের পাশাপাশি অস্ত্রধারী ২৩ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে। তাদের বিরুদ্ধে ৯ ফেব্রুয়ারি বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েব সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করে উখিয়া থানায় সোপর্দ করে। পরের দিন ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। 
গত ১২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা শুনানি শেষে ২২ জনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তারের পর কারাগারে থাকা মো. সাদেক নামের এক রোহিঙ্গা অসুস্থ হওয়ায় তার রিমান্ডের অনুমতি প্রদান করেননি বিচারক।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!