ভোলায় তাবলিগ জামায়াতে আসা ১৫ জন মুসল্লিকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ফজলুর রহমান মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মুসল্লিরা হলেন মো. আনছানার আলী (৭৫), মাওলানা আরিফ (৩৫), বাবুল হক (৫৫), মোখলেছ (৭৭), সাইদুর রহমান (৫৬), মেহেরাব আলী (৬০), আক্কাস আলী (৪৫), তোফাজ্জল হোসেন (৪৫), আক্কাস আলী (৬০), মোহাম্মদ হোসেন বাবুল (৬০), আবু বকর সিদ্দিক (৫০), দেলোয়ার হোসেন (৩৫), মো. জালাল হোসেন (২৫), আবদুল কাদের (৪০), মুফতি আমিনুল ইসলাম (২৫)।
আহত ১৫ জনের মধ্যে দিনাজপুর জেলার ১১ জন, ফরিদপুরের দুই জন, কুমিল্লা ও বগুড়ার একজন করে রয়েছেন।
জ্ঞান ফিরে আসা মুসল্লি মাওলানা আরিফ জানান, তাবলিগের ১৫ জনের একটি জামায়াত বুধবার ঢাকার টঙ্গি থেকে ভোলার মারকাজ মসজিদে আসেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ফজলুর রহমান মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে সবাই মসজিদে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় কিছু মেশানো ছিল। শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজ পড়তে এসে মসজিদের ঈমাম মুয়াজ্জিনসহ মুসল্লিরা তাদের অচেতন অবস্থায় পায়।
মাওলানা আরিফ আরও জানান, মুসল্লিরা অচেতন হয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা তাদের সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা নিয়ে যায়। তবে মোবাইল বা অন্য কোনো মালামাল নেয়নি।
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা. নিশি পাল জানিয়েছেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :