• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শোক দিবস: ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২২, ০৪:৪৬ পিএম
শোক দিবস: ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

বরগুনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় সেখানে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা পরে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে।

বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, “দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর পদবঞ্চিতরা হামলা চালায়। পরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে নেতা-কর্মীরা পুলিশের কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে শিল্পকলা ও লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শিল্পকলায় প্রবেশ করছিলেন তারা। এসময় শিল্পকলার ছাদ থেকে ছাত্রলীগ পরিচয়ে কিছু সন্ত্রাসী ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে।

রেজা আরও বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। এসময় ছাত্রলীগ পরিচয়ে কিছু সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কমিটি ঘোষণার পর এই সন্ত্রাসীরা একাধিকবার আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করেছে এবং শহরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।” 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান জানান, শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে একটি গ্রুপ শিল্পকলা একাডেমির দ্বিতীয় তলা থেকে পুলিশের গাড়িতে ইট ছুড়ে মারে। পুলিশ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

নদীবন্দর থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী নদীবন্দরে যায়নি। আর উদ্ধার হওয়া দেশীয় অস্ত্র ছাত্রলীগের নয়।

অবশ্য সভাপতি পদবঞ্চিত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ মোল্লা বলেন, “এ ঘটনায় আমি বা আমার সমর্থক কোনো ছাত্রলীগ কর্মী জড়িত নেই। আমি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। কী ঘটেছে আমি জানার চেষ্টা করছি।”

দীর্ঘ আট বছর পর ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলানায়তনে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নতুন কমিটির অনুমোদন দেন।

এতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদবঞ্চিতরা বেশ কিছুদিন শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও ভাঙচুর চালায়।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!