বিশ্বকাপে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দারুণ কিছুর আভাস দিয়েছিল সাকিব আল হাসানরা। তবে এরপরই পথ হারিয়েছে টাইগাররা। টানা হেরে বসেছে তিন ম্যাট। তিনটি ম্যাচেই বাংলাদেশকে হেসে খেলে হারিয়েছে বিপক্ষ দলগুলো। আর হারের অন্যতম কারণ বাংলাদেশের ব্যাটিং। ব্যাটসম্যানরা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না। বিশেষ করে ওপেনাররা এনে দিতে পারছিল না ভালো কোনো শুরু। সেই আক্ষেপ ঘুঁচে ভারতের বিপক্ষে। দারুণ শুরু এনে দেন এই দুই ওপেনার। কিন্তু দারুণ শুরুর পরও বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেনি বড় স্কোর।
দলের ব্যাটিংয়ের এমন ব্যর্থতার জন্য সুইং অফ সুলতান ওয়াসিম আকরামের চোখে দায়টা কেবলই লিটন দাসের। সিনিয়র এই ক্রিকেটারের আউট হওয়ার ধরণ একেবারেই ভাল লাগেনি পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসারের। ৬৬ রান করা লিটনের অমন শটের সমালোচনায় ওয়াসিম বলেন, “তরুণেরা তো সিনিয়রদের দেখেই শিখবে। লিটন দাস অনেক দিন ধরেই খেলছে। সে বাংলাদেশ দলের অন্যতম সিনিয়র খেলোয়াড়। কিন্তু সে যে সময় আউট হয়েছে, যে শট খেলে আউট হয়েছে, সেটার কোনো দরকারই ছিল না। পরিস্থিতিও অমন শট খেলার উপযোগী ছিল না। তার উচিত ছিল অমন শট না খেলে দেখে শুনে ব্যাটিং করে যাওয়া।”
তবে তরুণ ক্রিকেটার তানজিদ তামিমকে নিয়ে প্রশংসা করেন তিনি। সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, “তানজিদ অবশেষে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছে। এখন দরকার তার ধারাবাহিকতা। খুবই প্রতিভাবান ক্রিকেটার সে। আমি তো এমন এক প্রতিভাকে দলে নেওয়ায় বাংলাদেশের নির্বাচকদের কৃতিত্ব দেব।”
এ সময় ওয়াসিম আকরাম আরও বলেন, “পাঁচ–ছয় ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিতে সে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছে। দিনটা তার ছিল। সে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম অর্ধশতক পেয়েছে। এই ম্যাচের পর সবাই বুঝতে পেরেছে তার প্রতিভা আছে। সে নিজের যোগ্যতাবলেই দলে সুযোগ করে নিয়েছে। তার আরও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। অবশ্যই সেটির জন্য তাকে বেশি ম্যাচ খেলতে হবে।”
অন্যদিকে, তানজিদের প্রশংসায় মেতেছিলেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহ–উল–হকও। মিসবাহ বলেন, “তানজিদের আত্মবিশ্বাস ভালো লাগল। ভালো লেংথের বলও মেরেছে। তাকে এখন ইনিংস বড় করা শিখতে হবে। পঞ্চাশকে শতকে পরিণত করতে শিখতে হবে।”