• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ মুহররম ১৪৪৬

না ফেরার দেশে সবচেয়ে বেশি বয়সী ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটারের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৩, ০৮:১৬ পিএম
না ফেরার দেশে সবচেয়ে বেশি বয়সী ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটারের
ফাইল ছবি

ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে ১০১ স্কোর পার করলেও জীবনের ইনিংসটা আটকে গেলো ১০০তেই। গত বছর ২২ ডিসেম্বর নিজের ১০০ তম জন্মদিন পালন করা রুসি কুপার আজ সকালে দক্ষিণ মুম্বাইয়ে নিজের বাসস্থানে ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী প্রথম শ্রেণির এই ক্রিকেটার।

রুসি কুপারের পুরো নাম রুস্তম সোরাবজি। তিনি একমাত্র ভারতীয় যিনি স্বাধীনতার আগের পেন্টাঙ্গুলার ক্রিকেট টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন। তিনি পার্সিদের হয়ে খেলেছিলেন (১৯৪১-৪২ এবং ১৯৪৪-৪৫)। বোম্বের হয়ে তিনি খেলেছিলেন (১৯৪৩-৪৪ এবং ১৯৪৪-৪৫)। এখানেই শেষ নয়, ১৯৪৯-৫১ রুসি কুপার মিডলসেক্সের হয়েও খেলেছিলেন।

২২টি প্রথম শ্রেণির ম্য়াচে খেলেছিলেন রুসি কুপার। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য ইনিংস রুসি খেলেছিলেন ১৯৪৪-৪৫ রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে। সে বার তিনি হোলকারের বিরুদ্ধে বোম্বের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবং বোম্বেকে রঞ্জি জেতাতে সাহায্য করেছিলেন। বোম্বের (বর্তমানে মুম্বই) হয়ে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে সে বার তিনি ৫২ ও ১০৪ রান করেছিলেন। ১৯৪০-৫৫ এই সময়কালে তিনি সেরা ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন।

২৩ বছর বয়সে রুসি কুপার লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সে পড়তে গিয়েছিলেন। সেখানে পড়ার সময় তিনি ডেনিস কম্পটন, জেজে ওয়ার এবং বিল এডরিজদের পাশাপাশি মিডলসেক্স টিমের হয়ে কাউন্টিতে খেলা শুরু করেন। যদিও মিডলসেক্সের হয়ে তিনি খুব একটা সাফল্য পাননি পরবর্তীতে তিনি মার্কিন যুক্তরাজ্যে ক্লাব ক্রিকেটে প্রচুর রান করেন।

১৯৫৪ সালে তিনি এল এস ই-র কোর্স শেষ করে দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু তারপর আর রুসি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলতে পারেননি। কারণ, তিনি যেখানে কাজ শুরু করেন সেই কর্তৃপক্ষ তাঁকে ক্রিকেট খেলার জন্য ছুটি দেয়নি। তবে তিনি স্থানীয় টুর্নামেন্টে ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। কয়েক বছর তিনি বোম্বে পোর্ট ট্রাস্টের ট্রাস্টি ছিলেন। নব্বইয়ের দশকে তিনি একজন মেরিটাইম আইনজীবী ছিলেন।

তার জীবনের শেষটা কেমন ছিল ‘টাইম অব ইন্ডিয়া’য় সেটার কিছুটা তুলে ধরেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআইয়ের আম্পায়ার মার্কাস কৌটো।

“১২ জন সাবেক ক্রিকেটার নিয়ে রুসির একটি দল ছিল। প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় দেখা করত। টিকে কন্ট্রাক্টরের মৃত্যুর পর তাদের সেই আড্ডা থেমে গেল। অন্যরা ছিলেন বিজয় মার্চেন্ট, আনান্দজি দোসা, নরি কন্ট্রাক্টর…আমার মনে আছে, ওই সময়ের স্কুলছাত্র শচিন টেন্ডুলকার মাঝেমধ্যেই তাদের সঙ্গে যোগ দিত মিষ্টি খেতে। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে তাদের পুরনো ক্রিকেটের গল্প, ইতিহাস শুনতাম।”

Link copied!