বিশ্বকাপ যাত্রা শুরুর আগে হঠাৎ তামিম ইকবাল ইস্যু সামনে চলে আসে। পুরোপুরি ফিট নন তামিম তাই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাকে। এ সময় আরও খবর বের হয়ে আসে তামিমকে দলে নাকি রাখতে চাননি সাকিব আল হাসান নিজেও। সামনে চলে আসে এই দুই ক্রিকেটারের দ্বন্দ্বের খবরও। তামিম ইস্যুর আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ।
অনেকের আশা ছিল সব সমালোচনার জবাব হয়ত মাঠে দিবে বাংলাদেশ। কিন্তু হলো উল্টো। হারছে একের পর এক ম্যাচ। টাইগারদের শেষ হারটা নেদারল্যান্ডেসের বিপক্ষে। ম্যাচ হারের পর দলের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন সাকিব। সেখানে তার কাছে প্রশ্ন ছিল লম্বা সময় অধিনায়ক থাকায় দলেও নিশ্চয়ই তামিমের অনুসারী রয়েছে।
তাই তামিম দলে না থাকায় তার অনুসারীদের প্রভাব কী দলের ওপর পড়েছে কি না? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, “ফেলতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছু না। আসলে ব্যক্তির মনের ভেতর কী আছে সেটা বলা মুশকিল। কিন্তু আপনি যেটা বলছেন তার সঙ্গে দ্বিমত করি না। সেটি ফেলতেই পারে।”
এ সময় সাকিব আরও বলেন, “সেমিফাইনালের সম্ভাবনা নয়, অন্তত আরেকটু ভালো করতে চাই। আমাদেরকে র্যাঙ্কিংয়ে আটের ভেতর থাকতে হবে, যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে হয়। সে জায়গায় এখনও আমাদের হাতে তিনটা ম্যাচ আছে। যদিও আমাদের জন্য এরকম পরিস্থিতিতে কামব্যাক করাটা কঠিন।”
তবে সেটিও সম্ভব কিনা-এমন প্রশ্নে সাকিবের উত্তর, “আসলে খেলা শেষ হওয়ার আগে কিছু বলা সম্ভব না। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আবারও বলছি এটা কঠিন। কিন্তু এর চেষ্টা করা ছাড়া তো আমাদের কিছু করার নাই।”