এবারের বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো হয়নি ৯৬ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার। নিজেদের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে বোলিং করতে গিয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ৪২৮ রান হজম করে লঙ্কানরা। পাহাড়সম রানের টার্গেটে ১০২ রানের বড় হার নিয়ে দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামের মাঠ থেকে বিদায় নিতে হয় দাসুন শানাকার দল। বিশ্বকাপে এমন বড় হারের পর এবার জরিমানা গুণতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারায় দলটির ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ অর্থ জরিমানা করেছেন রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ। এবারের বিশ্বকাপে স্লো–ওভার রেটের কারণে প্রথম জরিমানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে লঙ্কানদের।
আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (৬ অক্টোবর) অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে শ্রীলঙ্কা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বোলিং শেষ করতে পারেনি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুই ওভার পিছিয়ে থাকায় খেলোয়াড় ও খেলোয়াড়–সহায়ক ব্যক্তিদের জন্য প্রণীত আইসিসির আচরণবিধির ২.২২ ধারা অনুসারে ওভারপ্রতি ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ করে জরিমানা করা হয়েছে। মাঠের দুই আম্পায়ার শরফউদ্দৌলা শহীদ সৈকত ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ বিষয়টি জানানোর পর ম্যাচ রেফারি জরিমানা আরোপ করেন। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক শানাকা তা মেনে নেওয়ায় শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
শনিবারের ম্যাচটি হয়েছিল বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোরের ম্যাচ। এই ম্যাচে দুই দল মিলে রান করেছিল ৭৫৪। বিগ স্কোর ম্যাচে বাউন্ডারির ফুলঝুড়ি ছুটেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা মিলিয়ে মোট ১০৫ বাউন্ডারি মেরে ছিল। যা ওয়ানডে ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ বাউন্ডারির রেকর্ড। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার বোলাররা ৫৯টি বাউন্ডারি হজম করে। বেশি বেশি বাউন্ডারি এবং বোলাররা প্রচুর রান দেওয়ায় বোলিং পরিকল্পনায় শ্রীলঙ্কা বেশি সময় নিয়েছে। এজন্যই স্লো–ওভার রেটের কারণে জরিমানার কবলে পড়তে হয়েছে দেশটিকে।