• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পাকিস্তানকে ৩৪৫ রানে টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৩, ০৭:০৩ পিএম
পাকিস্তানকে ৩৪৫ রানে টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪৫ রানের টার্গেট দিয়েছে। পাকিস্তানের দাপুটে বোলারদের বিপক্ষে লঙ্কানরা এদিন আক্রমণাত্মক ব্যাট চালিয়েছে। তাদের টপ অর্ডার ব্যাটারদের জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় রানের টার্গেট দেয় বাবর আজমদের।

হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভার শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩৪৪ রান।

এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকার দল। ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার কুশল পেরেরা দলীয় ৫ রানে ফিরে গেলে শুরুতেই ধাক্কা খায় লঙ্কানরা। হাসান আলীর বলে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান।

শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি লঙ্কানদের। তরুণ ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার সঙ্গে কুশল মেন্ডিস ১০২ রানের জুটি গড়েন। মেন্ডিস শুরু থেকেই ছিলেন খুনে মেজাজে, ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন নিশাঙ্কা। সে ধারাবাহিকতায় মাত্র ১৭ ওভারেই দলীয় একশ পেরোয় লঙ্কানদের ইনিংস। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করে শাদাব খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আব্দুল্লাহ শফিকের হাতে তালু বন্দি হন ৫১ রানে থাকা নিশাঙ্কা।

দুই উইকেট পতনের পর মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা পাকিস্তান বোলারদের শাসন করেছেন। এদিনও এই দুই ব্যাটার নাভিশ্বাস তুলেছেন পাকিস্তানি বোলারদের। তাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের বিপরীতে ভুলে যাওয়ার মতো বোলিং করেছেন শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফরা। তারা লঙ্কানদের দ্রুতগতির রান তোলার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন মেন্ডিস, সেঞ্চুরি পেয়েছেন সামারাবিক্রমাও।

হাসান আলীর বলে ইমাম-উল হকের অসাধারণ এক ক্যাচে আউট হওয়ার আগে মেন্ডিস করেছেন ১২২ রান। ৭৭ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১৪টি চার ও ৬টি ছয়। আউট হওয়ার আগে সামারাবিক্রমার সঙ্গেও শতরানের জুটি গড়েছেন মেন্ডিস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে তুলেছেন ৬৯ বলে ১১১ রান। মেন্ডিস-ই ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক। এই জুটিতে তার অবদান ৩৭ বলে ৭২ রান। তার পেছনে অবশ্য পাকিস্তানি ফিল্ডার ইমামের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ মাত্র ১৮ রানে থাকাকালেই তিনি মেন্ডিসের ক্যাচ হাতছাড়া করেছিলেন।

পাকিস্তানের হয়ে খরুচে বোলিং করলেও ঠিকই চার উইকেট তুলে নিয়েছেন হাসান আলী। তার বলে সামারাবিক্রমা আউট হওয়ার আগে ৮৯ বলে ১০৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। তিনি মেরেছেন ১১টি চার ও দুটি ছক্কার বাউন্ডারি। শেষদিকে লঙ্কানদের সংগ্রহ আরও বাড়তে পারত। কিন্তু শেষ তিন ওভারেই তারা তিন উইকেট হারায়।

পাকিস্তানের হয়ে হাসান আলী সর্বোচ্চ ৪ উইকেট এবং হারিস রউফ নেন ২ উইকেট। 

Link copied!