আমাদের দেশীয় ভাষায় একটা প্রবাদ আছে, ‘বাহির দিয়ে ফিটফাট ভিতর দিয়ে সদরঘাট’ প্রবাদটা পুরোপুরি মিলে যায় ধর্মশালার মাঠের সঙ্গে। ধর্মশালার মাঠটি পাহাড়ে ঘেড়া। প্রকৃতি তার সব সৌন্দর্য যেন ঢেলে দিয়েছে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে। তবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের পরিই আলোচনা চলছে এই মাঠের আউটফিল্ড নিয়ে।
তবে টাইগার স্পিন কোচ রঙ্গানা হেরাথের কন্ঠে মাঠ নিয়ে শোনা গেল পজিটিভ কথায়। শুধু টাইগারদের স্পিন কোচ নয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির পিচ কনসালটেন্ট অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন, বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড খেলার ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ এবং হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের হেড কিউরেটর সুনীল চৌহান মাঠ পরিদর্শন করেন এবং বলেন, মাঠ ঠিক আছে। এই মাঠেই ম্যাচ চালানো যাবে। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ধর্মশালা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের সপ্তম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড।
আজ (সোমবার) সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে বলেন, “ আমরা কোনো কিছুতে ফিল্ডারদের সীমাবদ্ধতার ভেতর আনতে চাচ্ছি না। কারণ সীমা বেঁধে দিলে তারা তাদের শতভাগ দেবে না। আমি নিশ্চিত তারা আগের ম্যাচে ভালো করেছে। তাই এমন আউটফিল্ড থেকে আমরা চাচ্ছি তারা যেন নিজের সেরাটা দেয়। ”
টাইগারদের স্পিন কোচ এ সময় আরও যোগ করেন, “আমি মনে করি আইসিসি আউটফিল্ড নিয়ে খুব পরিশ্রম করেছে। তাই এক্ষেত্রে, যেহেতু এটি স্টান্ডার্ড বজায় রেখেছে, তাই আইসিসি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে। সুতরাং, আমি এই আউটফিল্ড নিয়ে খুশি।”
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড দেখে চোখ কপালে ওঠার দশা। ফিল্ডিং করতে গিয়ে অল্পের জন্য ইনজুরিতে পড়েননি আফগান ক্রিকেটার মুজিব-উর-রহমান। দৃষ্টিনন্দন মাঠের এমন বাজে আউটফিল্ড নিয়ে এরপরিই চলে আলোচনা-সমালোচনা।