শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) হেনরিখ ক্লাসেনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪১৬ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা। ৮৩ বল মোকাবিলায় ১৩ ছক্কা ও ১৩ চারে ১৭৪ রান করেছেন ক্লাসেন। এছাড়া রনি ভ্যান ডার ডুসেনের ৬৫ বলে ৬২ ও ডেভিড মিলারের ৪৫ বলে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস দলের বড় সংগ্রহে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলার ও ক্লাসেনের জুটিতে উঠেছে ৯৪ বলে ২২২ রান। ওভারপ্রতি ১৪.৪৭ হারে রান তুলেছেন দুজন। ওয়ানডে ইতিহাসে কমপক্ষে ২০০ রান উঠেছে, এমন জুটিতে ওভারপ্রতি সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এটিই। এর আগের সর্বোচ্চ ছিল জস বাটলার ও এউইন মরগানের ১০.০৩ (২০৪ রান)।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ম্যাচ জিতে অজিদের সিরিজ জয় থেকে রুখে দিয়েছিল তারা। সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই প্রোটিয়াদের। এমন সমীকরণে সেঞ্চুরিয়নে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে দারুণ শুরু এনে দেন কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেনড্রিকস। দুজনের জুটিতে আসে ৬৪ রান।
৩৪ বলে ২৮ রান করে ১৩তম ওভারে সাজঘরে ফেলেন হেনড্রিকস। ডি কক মাঠ ছাড়েন ৬৪ বলে ৪৫ রান করে। দলীয় ১২০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ১১ বলে মাত্র ৮ রান করে মাইকেল নেসেরের শিকার হন এইডেন মারক্রাম। চতুর্থ উইকেটে ক্লাসেনের সঙ্গে ৭৪ রানের জুটি গড়েন ডুসেন। ৬৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রান করে ইনিংসের ৩৫তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন ডুসেন। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ঝড় তুলতে থাকেন ক্লাসেন। তার সঙ্গে চার-ছক্কার উৎসবে যোগ দেন মিলার। দুজন মিলে শেষ ৯২ বলে অজিদের তুলোধুনো করে তুলে নেন ২২২ রান।
ক্লাসেন আউট হন একেবারে ইনিংসের শেষ বলে। তবে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৮২ রান করে মিলার থাকেন অপরাজিত। তাতে সেঞ্চুরিয়নে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে এই মাঠে ৩৯২ রান ছিল সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০৭ সালে এ রেকর্ড গড়েছিল প্রোটিয়ারাই।
এদিন অজি বোলারদের মধ্যে ৭৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড।