• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
বিপিএল

মালিকে জিতলো রংপুর, হেরেই চলেছে খুলনা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ১০:৫৯ পিএম
মালিকে জিতলো রংপুর, হেরেই চলেছে খুলনা

রবিউল ইসলাম-রকিবুল হাসানদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে খুলনা টাইগার্সকে ১৩০ রানেই আটকে রেখেছিল রংপুর রাইডার্স। তবে নিজেরাও সেই মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল।

তবে এরপর দলকে চাপ থেকে উদ্ধার করেন রংপুরের পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত মালিকের ৪৪ রানের ইনিংসের উপর ভর করে খুলনা চার উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে রংপুর। অন্যদিকে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে হার সঙ্গী খুলনার।

প্রথম দুই ম্যাচের মতো আজকেও হাসেনি তামিম ইকবালের ব্যাট। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাত্র এক রান করেই ফিরে গেছেন এই ওপেনার। ওপেনিং থেকে আজকে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন খুলনার পাকিস্তানি ক্রিকেটার শারজিল খান।

তবে পজিশন বদলালেও বদলায়নি শারজিলের রান খরার চেহারা। যদিও এদিন দারুণ শুরু পেয়েছিলেন তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফিরে গেছেন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান।

দারুণ সাড়া জাগিয়ে বিপিএলে অভিষেক হয়েছে খুলনার ব্যাটার হাবিবুর রহমান সোহানের। তবে এখন পর্যন্ত নিজের সামর্থ্য দেখাতে ব্যর্থ তিনি। আজও ফিরেছেন মাত্র চার রানে। পাওয়ার প্লের মধ্যেই ১৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়েছে রুপসা পাড়ের দলটি।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজম খানকে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির আলি চৌধুরি রাব্বি। একপাশে আজম খানের পাল্টা আক্রমণ আর অন্যপাশে রাব্বির সতর্ক ব্যাটিংয়ে প্রাথমিক চাপ সামলে এগিয়ে যাচ্ছিল খুলনা।

দলীয় ৭৬ রানে ইয়াসির ফলে ভাঙে তাদের ৫৮ রানের জুটি। তবে এরপরই যাওয়া আসার মিছিল শুরু হয় খুলনার ব্যাটারদের। চার রানের ব্যবধানে ফিরে যান সাব্বির রহমান ও আজম খান। এই ম্যাচে আজমের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস।

শেষদিকে সাইফউদ্দিন ও নাহিদুজ্জামান মিলে চেষ্টা করলেও কেউই ইনিংস বড় করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত দুই বল বাকি থাকতেই ১৩০ রানে অলআউট হয় খুলনা। রংপুরের পক্ষে চার উইকেট নিয়েছেন রবিউল হক। আর সমান দুই উইকেট শিকার আজমুতউল্লাহ জাজাই ও রকিবুল হাসান।

 ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় রংপুর। বল হাতে নিয়ে প্রথম বলে রংপুরের ওপেনার রনি তালুকদারের উইকেট উপড়ে ফেলেন খুলনার পেসার সাইফউদ্দিন।

তিন নম্বরে নেমে শেখ মেহেদীও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ২২ রানে ওয়াহাব রিয়াজের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে রংপুরের আরেক ওপেনার সিয়াম আউয়ুবও ফিরে গেলে শুরুতেই চাপে পড়ে রংপুর।

এরপর মোহাম্মদ নাঈম শেখকে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন রংপুরের পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। দলীয় ৫৮ রানে নাঈম ফিরলে ভাঙে তাদের প্রাথমিক প্রতিরোধ।

এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে আবারও জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শোয়েব। তবে তাদের জুটিতে শোয়েব যত সাবলীল্ভাবে রান তুলেছেন অন্যপ্রান্তে সোহান যেন রান করতে ততটাই হিমশিম খেয়েছেন।

দলীয় ৯০ রানে যখন আউট হন তখন সোহানের নামের পাশে ১৮ বলে ১০ রানের অস্বস্তিকর ইনিংস। তবে অন্যপ্রাশে শোয়েব ছিলেন বলেই সেটা আর জয়ের পথে বাঁধা হয়নি।

সোহান ফেরার পর শামিম হোসেনকে নিয়ে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন শোয়েব। তবে জয় থেকে আট রান দূরত্বে ফিরে যেতে হয় তাকে, যদিও তাতে আর কোনো সমস্যা হয়নি। ফেরার আগে শোয়েবের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ বলে ৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। যেখানে ছিল তিন চার ও দুই ছক্কা।

শোয়েবের বিদায়ের পর শামিম হোসেনে ব্যাটে জয় নিশ্চিত হয়েছে রংপুরের। এই তরুণ বাঁহাতির ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। 

Link copied!