বাংলাদেশ দলের ওপেনিং জুটিতা অনেকটা গোলক ধাঁধার মতো। যার সমস্যা সমাধান হবে কি না জানা নেই। বিশ্বকাপের আগে তামিম ইকবালকে বাদ দেওয়া হলো। তার জায়গায় দলে জায়গা পাওয়া তানজিদ হাসান তামিম প্র্যাকটিস ম্যাচের দুটোতেই ব্যাট হাতে দারুণ ইনিংস খেলেন। কিন্তু মূল লড়াইয়ে ব্যাট হাতে পুরো ফ্লপ এই ওপেনার। আরেক ওপেনার আফগানদের বিপক্ষে ভালো না খেললেও ইংলিশদের বিপক্ষে খেলেন দারুণ। ওপেনিংয়ে দারুণ একটা শুরু না পাওয়ায় হতাশ অনেকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৯ ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ১৪ রান আসে তাদের জুটি থেকে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এ নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্নই হলো সংবাদ সম্মেলনে। জবাবে দলের সহঅধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, “আমার মনে হয় এই ওপেনিং নিয়ে আমরা আর চিন্তাই না করি। মানে এই চিন্তাটাই বাদ দিয়ে দেই। আমার মনে হয় যারাই টপ-অর্ডারে ব্যাটিং করছে, সবাই খুব ভালোমতো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। একটা-দুইটা ভালো ইনিংস ওই ব্যাটারের আত্মবিশ্বাস আসবে। কেউই এখানে এমন না যে ফুরফুরে মেজাজে আছে বা দলের জন্য চেষ্টা করছে না। সবাই চেষ্টা করছে। আশা করছি আগামী ম্যাচ থেকে টপ-অর্ডারেও ভালো কিছু হবে। ”
এ সময় শান্ত আরও যোগ করেন, “যদি শুরুটা ভালো হয়, দলের জন্য ভালো। কিন্তু আমার জন্য যেটা গুরুত্বপূর্ণ দুই-তিন উইকেট যদি পড়ে যায়; ওখান থেকে আমরা কীভাবে ঘুরে দাঁড়াই। এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে, দুই তিনটা উইকেট পড়ে যাওয়ার মানে এই না যে আমরা খুব অল্প রানে অলআউট হয়ে যাবো। ওখান থেকে কীভাবে আমরা বড় রান করতে পারি, এটাও গুরুত্বপূর্ণ।”
এছাড়া আলাদা করে তানজিদ তামিমকে নিয়ে শান্ত বলেন, ”আমার কাছে মনে হয় সে কেবল ৫-৬টা ম্যাচ খেলছে। প্রত্যেকটা প্লেয়ারেরই একটু সময় লাগে, কারও একটু বেশি-কারও একটু কম। তার ওপরও সবার ওই বিশ্বাসটা রাখা উচিৎ। সবাই যেন আমরা তাকে সমর্থন করি। এখানে যারা যে কয়জন প্লেয়ার আসছে, ভালো করার মতো সবাই সামর্থ্যবান। আশা করি সামনের ম্যাচে ভালো কিছুই করবে।”
ম্যাচের আগের দিন আজ (বৃহস্পতিবার) পেসারদের নিয়ে শান্ত বলেন, “প্রথমত কোন পেস বোলার হতাশ না, এখানে উইকেটই এমন। রান স্বাভাবিকভাবে একটু বেশিই দিবে। নরমালি আমরা দেখিনা আমাদের পেস বোলাররা ১০ ওভারে ৭০, ৬০ বা ৬৫ দেয়। তো হঠাৎ করে এখানে দেখে মনে হচ্ছে অনেক খারাপ বোলিং হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টা এরকম না, সবাই এ বিষয়টা নিয়ে অবগত আছে যে এখানে উইকেটটা ভালো। এখানে কত কম রান দেওয়া যায়, মিডল ওভারে উইকেট বের করতে পারি, নতুন বলে উইকেট বের করতে পারি।”
বাংলাদেশ দলের সামনে এখন কঠিন প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। তাই সেমিফাইনালে যাওয়ার পথে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কি এই ম্যাচটি? শান্তর জবাব, “প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাদের জন্য জরুরি। আমার মনে হয় না, এখনই সেমিফাইনাল নিয়ে চিন্তা করা খুব জরুরি। একটা একটা করে ম্যাচ যেতে চাই। যদি কালকের (আজ) ম্যাচটা ভালোভাবে শেষ করি তাহলে যে লক্ষ্যটা থাকবে সেখানে বেশ ভালভাবে এগোতে পারব।”