টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা মনে হয় বড় ভুলই হয়েছে নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের। কুইন্টন ডিকক ও ফন ডার ডুসেনের সেঞ্চুরিতে কিউইদের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ৩৫৭ রান তোলে প্রোটিয়রা।
পুনেতে টস ভাগ্যটা ছিল নিউজিল্যান্ডের দিকে। কিন্তু ব্ল্যাকক্যাপস অধিনায়ক টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যে দলটি এবারের আসরে আগে ব্যাটিংয় করে সব ম্যাচে রান তুলেছে ৩০০+ তাদের বিরুদ্ধে এমন সাহস দেখানোটা যে ভুল ছিল তা শুরু থেকেই বুঝা যায়।
প্রোটিয়ারা অবশ্য শুরু থেকে খুব একটা বিধ্বংসী ছিল না। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে হারিয়ে তোলে ৪৩ রান। বাভুমা আউট হন ২৪ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে।
এরপর ডুসেনকে নিয়ে জুটি গড়েন ডি কক। খোলস ছেড়ে বের হয়ে এসে অ্যাটাকিং ব্যাটিং করে এই দুই ব্যাটার। দুজন মিলে ১৮৯ বলে গড়েন ২০০ রানের জুটি। যেখানে ডি ককের ১০২ রান ডুসেনের ৯১ রান। ডি কক তুলে নেন এবারের বিশ্বকাপে চতুর্থ সেঞ্চুরি। কুমার সাঙ্কাকারার সঙ্গে এক আসরে চতুর্থ সেঞ্চুরি গড়ার রেকর্ড করলেন তিনি। তার ওপরে আছে শুধু রোহিত শর্মা। রোহিত ২০১৯ সালে করেছিলেন এক আসরে ৫টি সেঞ্চুরি। তাদের এই ২০০ রানের জুটি ভাঙে টিম সাউদি। ১১৪ রানে বিদায় নেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তার ইনিংসে ছিল ১০ চার ও ৩ ছয়ের মার।
এরপর ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে ৪৩ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন ডুসেন। এর মাঝে ডুসেন তুলে নেন সেঞ্চুরি। এটি এই বিশ্বকাপে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১৩৩ রান করে ডুসেনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙে সাউদি। দলীয় ৩১৬ রানের সময় ডুসেন যখন বিদায় নেন তখনও ম্যাচের বাকি ছিল ১৭ বল।
শেষ ১৭ বলে প্রোটিয়ারা সেভাবে রান তুলতে না পারলে স্কোরটা নিয়ে যায় সাড়ে তিনশর ওপরে। মিলার খেলেন ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। ৪৯.৪ বলের সময় মিলারকে ফেরান জিমি নিশাম। শেষ বলে এইডেন মার্করাম ছয় মারলে কিউইদের বিপক্ষে ৩৫৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় প্রোটিয়ারা। মার্করাম ৬ ও ক্লাসেন ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। সাউদি ১০ ওভারে ৭৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন।