• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

হেসেখেলেই জিতল পাকিস্তান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৩, ০৯:১১ পিএম
হেসেখেলেই জিতল পাকিস্তান
ছবি: সংগৃহীত

এবারের বিশ্বকাপে টানা ব্যর্থতা ধরে রাখল বাংলাদেশ। নিজেদের সপ্তম ম্যাচেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা। সাকিব আল হাসানদের ২০৫ রানের মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০৫ বল বাকি রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাবর আজমের দল। এই জয়ে পাকিস্তান বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের রেসে টিকে থাকল। আর অন্যদিকে বাংলাদেশ ছিটকে গেল বিশ্বকাপ থেকে। ভারত বিশ্বকাপে টাইগারদের এখন একটাই লক্ষ্য ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ইডেন গার্ডেনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান বোলারদের তোপের মুখে পড়েন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৪৫ ওভার ১ বল খেলে ২০৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল। জবাবে পাকিস্তানের ১২৮ রানের উদ্বোধনী জুটির কল্যাণে ৩২ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাবর আজমের দল।

রান তাড়া করতে নামা পাকিস্তান দুই ওপেনার সতর্ক শুর করেন। নিজেরা উইকেটে থিতু হয়ে তারপর বাংলাদেশের বোলারদের ওপর স্ট্রিম রোলার চালিয়েছেন এই দুই ব্যাটার। ফখর জামান ও আবদুল্লাহ শফিক পাওয়ার প্লে শেষে স্কোরবোর্ডে ৫২ রান জড়ো করেন। এরপর দুই ইনিংসের ২০ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই দুই জনে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। তাতে তাদের জুটিও ছাড়ায় ১০০ রান। শেষ পর্যন্ত এই অপ্রতিরোধ্য জুটি ভাঙে মেহেদি হাসান মিরাজের ব্রেকথ্রুতে।এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে শফিক বিদায় নিলে ১২৮ রানের পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৬৯ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান।

এরপর বাংলাদেশ আরও দুই উইকেট পেয়েছে। কিন্তু তাতে ম্যাচের ভাগ্য বদলায়নি। কেবল ফখর জামান হয়ত একটু আফসোস করতে পারেন ১৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করায়। আর মিরাজ খুশি হতে পারেন আরও দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারে ১০০ উইকেট পূরণ করায়।  

ফখর ৩ চার ও ৭ ছক্কার ইনিংসে ৭৪ বলে ৮১ রান করা ফখরকে তাওহীদ হৃদয়ের ক্যাচ বানান। আর ১৬ বলে ৯ রান করে লং অনে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে বাবর আজম ক্যাচ দেন। পাকিস্তান ১৬৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আর বিপদ হতে দেননি মোহম্মাদ রিজওয়ান ও ইফতেখার আহমেদ। ২৬ রানে রিজওয়ান ও ১৭ রানে ইফতেখার অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে আসেন।  

এর আগে, টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামেন পাকিস্তান। নতুন বলে বরাবরই ভয়ঙ্কর শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার প্রমাণও দিয়েছেন প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিমকে আউট করে। ৫ বলে শূন্য রান করে এলবিডব্লিউ হন তানজিদ। এক ওভার বিরতি দিয়ে আবার বোলিংয়ে এসে এবার নাজমুল হোসেন শান্তকে তুলে নেন আফ্রিদি। শান্ত ৩ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়ানের পথ ধরেন। এরপর ৮ বলে ৫ রান করে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম হারিস রউফের শিকার হলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের।

বিপর্যস্ত বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং হাল ধরেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুইজনে ৮৯ বলে ৭৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। ৬ চারে ৬৪ বলে ৪৫ রান করে ইফতেখারের বলে লিটন আউট হলে এই জুটি ভাঙে। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গী হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়ককে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ৩১তম ওভারে আফ্রিদির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭০ বলে ৫৬ রান করেন সাইলেন্ট কিলার।

এরপর সাকিব ৫৩ বলে ২৬ রান করার পর ৩৭তম ওভারে ইফতেখার আহমেদকে টানা তিন বলে বাউন্ডারি হাঁকান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে তিনি হাফসেঞ্চুরির আগেই হারিস রউফের বলে আগা সালমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪ চারে ৬৪ বলে ৪৩ রান করে বিদায় নেন।

এর মাঝে বাদ পড়া তাওহীদ হৃদয় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ৩ বলের মধ্যে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে আউট হন। আট নম্বরে নামা মিরাজ ৩০ বলে ২৫ রান করেন। মিরাজের বিদায়ের পর স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ করেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি মোহম্মাদ ওয়াসিম।

Link copied!