বিশ্বকাপটা দারুণভাবে শুরু করেছিল পাকিস্তান। টানা দুই ম্যাচে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। যেখানে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান চেজ করে জেতার রেকর্ডও রয়েছে। এরপরই দলটির ছন্দপতন। হারছে একের পর এক ম্যাচ। টানা দুই জয়ের হেরেছে টানা তিন ম্যাচ। কাল(শুক্রবার) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবেন বাবর আজমরা। এই ম্যাচের আগে দলটির টিম ডিরেক্টরের আশা জয়ের ধারায় ফিরবে পাকিস্তান।
ক্রিকেটে পাকিস্তানের এইভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯২ বিশ্বকাপ তার অন্যতম একটি উদাহরণ। এছাড়া গত বছর অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচের দুটোতে হেরেও ফাইনাল খেলেছিল তারা। যদিও শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয়। এছাড়া ইংল্যান্ডে ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও শুরুতে ভারতের কাছে হারা দলটি শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয় করে মাঠ ছাড়ে তারা। তাই দলটিকে বলা হয় ‘আনপ্রেডিকটেবল টিম।”
আর তাই হয়ত দলটির টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার স্বপ্ন দেখছেন দলটিকে নিয়ে। আর্থার বলেন, “আমরা ড্রেসিংরুমে জানিয়ে দিয়েছি যে বিশ্বকাপ জিততে আমাদের আর ৬ ম্যাচ রয়েছে। এজন্য আমাদের টানা ৬টিতেই জিততে হবে। আমরা জানি দল ও একতাবদ্ধ হয়ে খেললে কাজে লাগানো যাবে আমাদের কৌশলের শতভাগ। শতভাগ প্রচেষ্টা নিশ্চিত করতে পারলে বিশ্বকাপ না পাওয়ার কোনো কারণই নেই।”
এ সময় পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর আরও বলেন, “গত তিন ম্যাচেও আমাদের জয়ের জন্য সামর্থ্য ছিল, আমি মনে করি না এজন্য তাদের আরও বাড়তি দক্ষতার প্রয়োজন। তবে শুক্রবারের ম্যাচে অসাধারণ কিছু করার জন্য আমাদের কোচিং প্যানেল ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে, তারা চাইলেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। আমরা এখনও দল হয়ে খেলতে পারিনি, সে কারণে খেলা সম্ভব হয়নি পুরো ম্যাচও। তবে আমাদের সেরাটা দিতে পারলে যেকোনো দলকেই হারানোর সক্ষমতা রয়েছে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই কোচ এ সময় আরও যোগ করেন,“ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে অনুশীলনে, তাদের প্রচেষ্টাতে কোনো ভুল দেখি না। তবে চাপের সময়ও ভেঙে না পড়ার সামর্থ্য দেখাতে হবে তাদের। আফ্রিকা খুব ভালো দল। শেষ কয়েকটি ম্যাচে তাদের আত্মবিশ্বাস কেমন-সেটি টের পাওয়া গেছে। তবে পরিকল্পনা ও দক্ষতার পুরোটা কাজে লাগাতে পারলে যে কাউকে হারানো যাবে।”