সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়া বাংলাদেশ হারছে একটার পর একটা ম্যাচ। ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরেছে টাইগাররা। পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বরে অবস্থান সাকিব আল হাসানদের। সেমির আশা বলতে গেলে প্রায় শেষ তাদের। তাই টাইগারদের নতুন লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলা নিশ্চিত করা। নতুন নিয়মে বিশ্বকাপের টপ আট দল খেলবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তাই সাকিবদের লক্ষ্য শেষ তিন ম্যাচ জিতে শীর্ষ আটে থাকা। সেই যাত্রায় মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে সাকিব আল হাসানের দল। কলকাতায় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়।
এদিকে বাংলাদেশের মতোই অবস্থা পাকিস্তানেরও। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে দারুণ শুরু করেছিল বাবর আজমের দল। কিন্তু এরপরই দলটি ভুলে যায় জিততে। হারতে থাকে একের পর এক ম্যাচ। শেষ চার ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে ৯২-এর চ্যাম্পিয়নরা। ছয় ম্যাচের ২টিতে জয় পাওয়া পাকিস্তানের এখনো সম্ভাবনা রয়েছে সেমিফাইনালে যাওয়ার। সেক্ষেত্রে শেষ তিন ম্যাচের সবকয়টিতে জিততে হবে তাদের। পাশাপাশি অন্য দলগুলোর ফলাফলেও নজর রাখতে হবে।
তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ অভিষেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম মোকাবেলায় ৬২ রানের জয়ে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল আকরাম খান-নাইমুর রহমান দুর্জয়-মোহাম্মদ রফিকরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া সহজ হয়েছিল টাইগারদের। গত আসরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিতীয় সাক্ষাতে ৯৪ রানের জয়ে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে হারের প্রতিশোধ নেয় পাকিস্তান।
সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ৩৮বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এরমধ্যে বাংলাদেশ মাত্র পাঁচটিতে জয় পায় এবং ৩৩টিতে হেরে যায়। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে দেখা হয়েছিলো দুদলের। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছিল পাকিস্তান।
হারতে থাকা বাংলাদেশের অবস্থা এখন অনেকটা আহত বাঘের মতো। আর আহত বাঘ যে কতটা ভয়ংকর তা ভালোই জানা সবার। তাই বাংলাদেশকে সমীহের চোখে দেখছে পাকিস্তান। তারাও বিশ্বাস করেন ম্যাচটি সহজ হবে না। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে হলে দিতে হবে নিজেদের সেরাটা।