পেনাল্টি মিস করলেন মেসি, বড় ব্যবধানে হারল মায়ামি
চলতি মাসে ঘরের মাঠে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে খেললেও ইকুয়েডরের মাঠে পরের ম্যাচটা খেলতে যাননি লিওনেল মেসি। সম্প্রতি চোট কাটিয়ে ওঠা মেসি বিশ্রাম নিয়েছিলেন নিজেকে পুরোপুরি ফিরে পেতে। কিন্তু সে বিশ্রাম খুব একটা কাজে আসেনি আর্জেন্টাইন মহাতারকার।
এমএলএসের ম্যাচে শারলট এফসির বিপক্ষে রোববার নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন মেসি। গোলবার তো খুঁজে পাননি, উল্টো পেনাল্টি মিস করেছেন। মেসির ভুলে যাওয়ার মতো পারফরম্যান্সের দিনে ইন্টার মায়ামি ম্যাচটা হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে।
শারলটের মাঠ ব্যাংক অব আমেরিকাতে ম্যাচের প্রথম বড় সুযোগটা পেয়েছিল মায়ামি। ডান প্রান্ত থেকে বক্সের ভেতর ক্রস করেছিলেন তাদেও আলেনদে। সে ক্রস মাটিতে পড়ার আগেই জোরালো শট নিয়েছিলেন ইয়র্দি আলবা। কিন্তু স্প্যানিশ লেফট ব্যাকের শট ঠেকিয়ে দেন শারলট গোলকিপার ক্রিস্তিয়ান কাহলিনা।
ম্যাচের আধা ঘণ্টা যেতেই পেনাল্টি পায় মায়ামি। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকার পানেনকা পেনাল্টিতে বিভ্রান্ত না হয়ে সেটি সহজেই ঠেকান শারলটের ক্রোয়েশিয়ান গোলকিপার।
সে ধাক্কার রেশ কাটতে না কাটতেই দুই মিনিট পরে আরও বড় ধাক্কা খায় মায়ামি। দারুণ এক প্রতিআক্রমণে গোলের দেখা পায় শারলটে। ডানপ্রান্ত থেকে কেরউইন ভারগাসের বাড়ানো ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের শটে মায়ামির জালে বল জড়ান ইদান তোকলোমাতি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইসরায়েলের ২১ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকার। এবার ব্রোনিক্রোর আলতো করে বাড়ানো বলে বক্সের ভেতর থেকে শট নিয়ে স্কোরলাইন ২-০ করেন তোকলোমাতি।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও ঘুম ভাঙেনি মায়ামির। উল্টো নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট আগে আরও একটি গোল হজম করে হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। এবার পেনাল্টিতে মায়ামির জালে বল জড়িয়ে হ্যাটট্রিক আদায় করেন তোকলোমাতি।
পুরো ম্যাচে মেসি কতটা নিষ্প্রভ ছিলেন, সেটা পরিসংখ্যানেও স্পষ্ট। মোটে ৩৫টি পাস দিয়েছেন মেসি, এর মধ্যে ২৯টি সতীর্থকে খুঁজে পেয়েছে। চারবারের প্রচেষ্টায় একবারও সফল ড্রিবল করতে পারেননি। তিনটি ক্রস করলেও সেগুলো সতীর্থর পায়ে যায়নি। এ ছাড়া বল হারিয়েছেন আরও তিনবার। সব মিলিয়ে দিনটা মেসির ছিল না।