রাজনৈতিক কৌশলগত মতভেদ থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির একটা সুযোগ জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের দিয়েছিল এবং আমরা সেটা গ্রহণ করেছি। এটাই হবে আমাদের একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি। আমাদের মধ্যে আদর্শিক মতভেদ, রাজনৈতিক কৌশলগত ও নির্বাচনের ইস্যু ভিত্তিক মতভেদ থাকলেও আমরা যে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যটা ধরে রাখি। এখানে যেন আমরা মতানৈক্য না আনি।
শনিবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) উদ্যোগে ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, জনমানুষের ভাবনা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরিস্থিতিতে বর্তমানে দেশে একটা সন্ধিক্ষণ তৈরি হয়েছে। এই সন্ধিক্ষণ আমাদের ব্যবহার করতে হবে, এতে কোনো সন্দেহ নাই। এর উপায় হচ্ছে, রাষ্ট্রকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি বন্ধ করার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। সেই গণতান্ত্রিক রূপান্তরের একটা প্রধানতম উপায় হচ্ছে, নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার এবং সংসদ প্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্যেই সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেন আমরা জবাবদিহিতামূলক সুশাসনের এবং সাম্য ভিত্তিক বৈষম্যহীন একটি সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে পারি, সেজন্য আজকে এই সংস্কারগুলো নিয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৈঠকে প্রত্যেকেই তর্কবিতর্ক করেছেন, অনেকেই অম্ল মধুর বিতর্ক করেছেন। পরস্পর আমরা ভিন্নমত পোষণ করেছি। কিন্তু কখনো সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্ন হয়নি। এখনও যারা রাজপথে এবং বিভিন্ন সমাবেশে নির্বাচনকে নিয়ে ও সংস্কারের বাস্তবায়ন বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেটা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার উপায় তো হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমরা যখন আলোচনা শুরু করেছিলাম, তখন এই প্রশ্ন আসেনি যে- আমরা সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে ঐকমত্য হলে সেটা জাতীয় প্রতিশ্রুতি হিসেবে উল্লেখিত থাকবে, সবাই অঙ্গীকার করবে- সেইটুক এসেছিল। কিন্তু ওই প্রশ্ন আসেনি, ইমিডিয়েটলি সেটা সাংবিধানিক সংস্কারসহ এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে- সেটা যে বৈধ প্রক্রিয়ায় হোক।