• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিশ্বকাপ জেতার পর মেসির ভাবনায় নেই ব্যালন ডি‍‍`অর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৩, ০৫:৪০ পিএম
বিশ্বকাপ জেতার পর মেসির ভাবনায় নেই ব্যালন ডি‍‍`অর
ফাইল ছবি

লিওনেল মেসি ৭ বার ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিতেছেন। ২০২২ বিশ্বকাপের আগে তার একটা আক্ষেপ ছিল বিশ্বকাপ না জেতার। তিনি তো একবার আক্ষেপ করেই বলে ছিলেন তার জেতা সব ব্যালন ডি’অর এর বিনিময়ে হলেও একটা বিশ্বকাপ জিততে চান। তার সেই আক্ষেপ ঘুচে গিয়েছে কাতার বিশ্বকাপে এসে। তিনি আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর তৃতীয় শিরোপা এনে দিয়েছেন। আলবিসেলেস্তেদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার কারণেই ২০২২ ব্যালন ডি’অর জয়ী দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।

কাতার বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। এই বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে করেছিলেন ৭ গোল আর সতীর্থদের দিয়ে করিয়ে ছিলেন তিন গোল। বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরার পুরুস্কারও উঠেছে তার হাতেই। সম্প্রতি উয়েফা ২০২২ ব্যালন ডি’অর পুরুস্কার জয়ী ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। কাতারে এমন সাফল্য পাওয়ার কারণে। সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন লিওনেল মেসি।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর আর্জেন্টাইন অধিনায়ক প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসে ছিলেন। মেসি সব সময়ই ব্যক্তিগত অর্জনের থেকে দলীয়ও অর্জনকেই এগিয়ে রাখেন। এলএমটেন বিশ্বকাপ জেতার পর ব্যালন ডি’অর তার আর ভাবনাতেই নেই এমটাই জানান। সংবাদ সম্মেলনে মেসি বলেন, “আমার ক্যারিয়ার জুড়ে অনেকবার বলেছি- ব্যালন ডি’অর গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার নয়। ব্যক্তিগত দিক থেকে সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার কিন্তু আমি কখনোই এটাকে গুরুত্ব দেইনি। সবসময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের হয়ে কোনো অর্জন। বিশ্বকাপ জেতার পর, যেটা আমি জিততে পারছিলাম না; এখন আমি ব্যালন ডি অর নিয়ে ভাবছিও না।”

মেসি আরও বলেন, “বিশ্বকাপ ছিল সবচেয়ে সেরা অর্জন আর এখন সময়গুলো উপভোগ করছি কেবল। সত্যিটা হচ্ছে আমি ব্যালন ডি অর নিয়ে ভাবছি না। যদি এটা আসে, তাহলে সুন্দর একটা ব্যাপার হবে। যদি না পাই, কিছুই হবে না। এখন ইন্টার মায়ামির হয়ে আমার নতুন চাওয়া আছে।”

আমেরিকাতে তিনি খুশি আছেন বলে জানান ক্ষুদে যাদুকর। মেসি বলেন, “আমি এই শহরকে দেখে চমকে যাইনি, কারণ এখানে আগেও ছিলাম। জানতাম এখানকার মানুষ কেমন আর ইতোমধ্যেই আমি পছন্দ করতে শুরু করেছি এসব। প্রতিদিন এখানে আমাকে শহরের আরও কাছে নিয়ে যাচ্ছে। এটাকে আরও ভালোভাবে চেনাচ্ছে। আমি খুশি, জীবনের নতুন ধাপ উপভোগ করছি, এই দেশে থাকার অভিজ্ঞতা নিচ্ছি। যেটা সবসময়ই আমার মাথায় ছিল।”  

Link copied!