তাসমান পাড়ের দুই দলের লড়াইয়ে ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া। কিউইদের বিপক্ষে ট্রাভিস হেডের সেঞ্চুরি ও ডেভিড ওয়ার্নারের হাফসেঞ্চুরির কল্যাণে ৩৮৮ রান তোলে অজিরা। ৪ বল বাকি থাকতেই অল আউট হয়ে যায় প্যাট কামিন্সের দল।
ক্রিকইনফোর এক কমেন্টে বলা হয় ধর্মশালার গ্যালারিতে দর্শকদের হেলমেটের ব্যবস্থা করতে হবে। বলার কারণটা হলো অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দারুণ শুরু করে দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। দুজনই ব্যাট হাতে কিউই বোলারদের ওপর চালায় তাণ্ডব। ৯ ওভারের ভিতর দুই ব্যাটসম্যান তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। আর ব্যাটিং পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর অজিদের স্কোর ১০ ওভারে ১১৮ রান, বিনা উইকেটে। তবে ২০ তম ওভারে এসে ভাঙে এই জুটি। সেঞ্চুরির দিকে অগ্রসর হওয়া ওয়ার্নারকে ফেরান গ্লেন ফিলিপস। ৮১ রানে ওয়ার্নারের বিদায়ে ভাঙে ১৭৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।
ওয়ার্নারকে হারালেও ইনিংসের ২৩ ওভার শেষেই দুইশ ছাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন ট্রাভিস হেড। হাতের ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের আগের ম্যাচগুলো খেলতে পারেননি। আজ দলে ফিরেই মাত্র ২৫ বলে চলতি বিশ্বকাপের যৌথভাবে দ্রুততম ফিফটির পর ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে খেললেন ৫৯ বল। আর একেই বলে প্রত্যাবর্তন।
সেঞ্চুরির কিছুক্ষণ পর তাকে থামান ফিলিপস। ৬৭ বলে ১০৯ রান করেন অজি ওপেনার। তার ইনিংসে আছে ১০টি চার ও ৭টি ছয়ের মার। এরপর রানের গতি কমতে থাকে অজিদের। স্টিভ স্মিথ দলীয় ২২৮ রানে, মিচেল মার্শ ২৬৪ রানে, মার্নাস লাবুশেন ২৭৪ রানে বিদায় নেন। এদের মধ্যে স্মিথ ১৮, মার্শ ৩৬ ও লাবুশেন ১৮ রান করেন।
শেষদিকে ঝোড়ো ইনিংস আসে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জস ইংলিস ও প্যাট কামিন্সের ব্যাট থেকে। ডাচদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ম্যাক্সওয়েল ২৪ বলে ৪১ রান করে জিমি নিশামের ওভারে আউট হন। ইংলিসকে ৩৮ রানে আউট করেন বোল্ট। ১৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হন কামিন্স। মিচেল স্টার্ককে ম্যাট হেনরি ও অ্যাডাম জাম্পাকে তুলে নেন বোল্ট। ফলে অজিদের ইনিংস থামে ৩৮৮ রানে। ব্ল্যাকক্যাপসদের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট ও গ্লেন ফিলিপস দুইজনই তিন উইকেট পেয়েছেন।