বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন নতুন বিতর্ক চলছে। তাতে দেখা যায়, একটি দেশ আরেকটি দেশের ওপর বিরক্ত। কিংবা রাজনৈতিক বিষয় সামনে চলে আসছে। অথবা তৈরি হচ্ছে ধর্মীও ইস্যু। তেমনই একটি বিষয় সামনে চলে এসেছে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের মধ্যে।
টেস্ট, ওয়ানডের পর এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজও স্থগিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে নারী ও শিশুদের মানবাধিকারে ব্যাপক অবনতি হয়েছে জানিয়ে সিরিজটি স্থগিতের ঘোষণা দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। সিরিজটি স্থগিত করায় এবার সরাসরি সিএ’র প্রতি হতাশা প্রকাশ করে ‘বাহ্যিক চাপ এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে মাথা নত না করার’ আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
মানবাধিকার ইস্যুর জন্য অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ স্থগিতের সিদ্ধান্তের পর বুধবার এসিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আইসিসির একটি পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের অবস্থানকে বুঝা উচিত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার।’
স্থগিত করা সিরিজটি আইসিসির ভবিষ্যত ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে তালেবান শাসিত দেশটিতে নারী ও শিশুদের মানবাধিকারের ব্যাপক অবনতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সিরিজ স্থগিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
এসিবি জানিয়েছে, ‘সিএ প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতেই আইসিসির এফটিপিতে এই সিরিজ অনুমোদিত হয়েছিল, তারা সেই সময়ে ফিক্সচারে সম্মত হয়েছিল। মানবাধিকারকে অজুহাত বানিয়ে এখন তারা পিছু হঠছে।’
এসিবি বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছে অনুরোধে জানিয়েছে, ‘অস্ট্রেলিয়ান সরকার যেন ক্রিকেট বোর্ডের ওপর তাদের নীতি চাপিয়ে না দেয়। বরং এর পরিবর্তে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রিকেটের উন্নয়নে সহায়তা করার দিকে মনোনিবেশ করে।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালে মানবাধিকার ইস্যুতেই দুই দেশের মধ্যে প্রথম টেস্ট স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর গতবছর একই কারণ দেখিয়ে ওয়ানডে সিরিজও স্থগিত করা হয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে। এবার মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে জানিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজও স্থগিত করলো অস্ট্রেলিয়া।
আপনার মতামত লিখুন :