• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

দুবাইয়ে হচ্ছে পরিবেশবান্ধব সুপার হাইওয়ে


কর্ডেলিয়া বিশ্বাস
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম
দুবাইয়ে হচ্ছে পরিবেশবান্ধব সুপার হাইওয়ে

দুবাইয়ে সাইক্লিংয়ের জন্য পরিবেশবান্ধব সুপার হাইওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে ইউআরবি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। জলবায়ুসহিষ্ণু এই হাইওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ৯৩ কিলোমিটার। যেটি হবে সম্পূর্ণ ফুয়েল ফ্রি এবং গাড়িমুক্ত সবুজ করিডর। এর নাম দেওয়া হয়েছে টেকসই আরবান হাইওয়ে।

ইউআরবির প্রধান নির্বাহী বাহারাশ বাঘেরিয়ানের মতে, এটি হাঁটার ও সাইক্লিংয়ের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্মার্ট শহর। প্রকল্পটির কাঠামো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে থাকবে গাছপালা। নাগরিকরা চলাচলের জন্য সাইকেল ছাড়া অন্য কোনো যান ব্যবহার করবেন না। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চল টেকসই কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশগত শিক্ষা ও সবুজ পর্যটনের এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে।

হাইওয়ের এই লুপে ৪০ হেক্টর ভূমিজুড়ে থাকবে একটি অ্যাগ্রি হাব। এ ছাড়া শিক্ষা ও গবেষণার জন্য পৃথক স্থান, সেই সঙ্গে ইকো-লজ, খাবারের দোকান, রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে থাকবে।

বাঘেরিয়ান বলছেন, “এই অ্যাগ্রি হাব টেকসই উন্নয়ন বুঝতে এবং এতে অংশ নিতে পর্যটকদের সাহায্য করবে। এটা মানুষের চোখ খুলে দেবে। কৃষি পর্যটন নিয়ে মানুষের হয়তো ভুল ধারণা রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা কৃষি পর্যটনের মডেল নিয়ে ভুল ধারণা ভেঙে দেব, যা সবার উপকারে আসবে। আপনি খুচরা বিক্রেতা হোক বা কৃষক হন, বিশেষ করে আপনি যখন ভোক্তা—প্রত্যেকের জন্য সবুজ অর্থনীতিতে কিছু না কিছু আছে।”

বাঘেরিয়ান এর আগে দুবাইয়ের ‘দ্য সাসটেনেইবল সিটির’ ফেজ-২ এর নকশা নির্মাণের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে আবুধাবির ইতি, ওমান ও ইয়াস দ্বীপে নির্মাণাধীন একই ধরনের সবুজায়ন প্রকল্পে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, “পুরো বিশ্ব একটি সবুজ অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি তারাই হতে চলেছে, যারা এই জাতীয় প্রকল্পের মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টেকসই রূপান্তরের দিকে ধাবিত হবে।”

ইউআরবি বলেছে, প্রকল্পটির লক্ষ্য শূন্য-বর্জ্য এবং জীবাশ্ম-জ্বালানি-মুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা। জৈব বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপন্ন করার জন্য এটির নিজস্ব বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট থাকবে, ভবনগুলো আংশিকভাবে ভূগর্ভস্থ থাকবে, ভবনগুলোকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করবে।

যেহেতু দুবাইয়েে বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে, প্রকল্পটি বায়ো-লবণাক্ত চাষের বৈশিষ্ট্যের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে নোনা পানিতে ফসল ফলানো হবে। জনসাধারণের এলাকায় সেচের জন্য সাইট থেকে পুনর্ব্যবহৃত পানি ব্যবহার করা হবে। এই অঞ্চলগুলো খরা-সহনশীল উদ্ভিদের পাশাপাশি পাখি এবং পোকামাকড়ের আবাসস্থল তৈরি করা হবে।

ইউআরবি জানিয়েছে, সম্পূর্ণ বেসরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি সম্পন্ন করা হবে। এবং ২০২৪ সালের মধ্য এর নির্মাণকাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের, যাতে এটি ২০৪০ সালের মধ্যে জনসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করা যায়।

সূত্র : সিএনএন

Link copied!