রাজধানীর সেগুনবাগিচার পাঞ্জেরিয়া দরবার শরীফের জায়গায় পীর ইয়াহিয়া হাসানের মরদেহ দাফন না করতে হাইকোর্টে রিট করেছেন গদ্দিনাশিন পীর সৈয়দ মো. ইয়ামিনুল হাসান চিশতী।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়। পীর সৈয়দ মো. ইয়ামিনুল হাসান চিশতীর পক্ষে ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান এ রিট দায়ের করেন।
রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী বলেন, “২০১৭ সালে দিল্লির খাজা নিজামউদ্দিন আওলিয়া দরবার শরীফ থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হয়ে পীরজাদা সৈয়দ মো. ইয়ামিনুল হাসান চিশতী পাঞ্জেরিয়া দরবার শরীফের গদ্দিনাশিন হয়ে পীরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই থেকে পীরজাদা সৈয়দ মো. ইয়ামিনুল হাসান চিশতী পীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ পাঞ্জেরিয়া দরবার শরীফের সেগুনবাগিচার জায়গা গত ১৯৭৯ সালে ঢাকা জেলা প্রশাসক কর্তৃক পীরের অনুকুলে লিজ দেওয়া হয়। লিজের অন্যতম শর্ত ছিল যে এ জায়গা শুধুমাত্র ধর্মীয় উপাসনার কাজে ব্যবহার করা যাবে। এরই মধ্যে গত ২৪ ডিসেম্বর ইয়ামিনুল হাসান চিশতীর আপন চাচা দিল্লি থেকে খেলাফত প্রাপ্ত সৈয়দ ইয়াহিয়া হাসান মারা যান। তখন জায়গার লিজ নেওয়ার শর্ত ভঙ্গ করে ইয়াহিয়া হাসানের মরদেহ দরবার শরীফে দাফন করতে তার অনুসারীরা ঢাকার জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের আবেদন করেন।”
আইনজীবী আরও বলেন, “এ সময় ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উভয়পক্ষকে ডেকে ইয়াহিয়া হাসানের লাশ দরবার শরীফের জায়গায় দ্রুত দাফন করতে বলেন। এ সময় পীরজাদা সৈয়দ মো. ইয়ামিনুল হাসান চিশতী তাকে বলেন, এই জায়গায় দাফন করলে লিজের শর্ত ভঙ্গ হবে। এখানে দাফন করা সম্ভব নয়। এরপরও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওই জায়গাতে দাফন করতে চাপ প্রয়োগ করলে ৩০ ডিসেম্বর পীর ইয়ামিনুল হাসান ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে এর বিরুদ্ধে আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় পীর ইয়ামিনুল হাসান আজ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।”
এদিকে রিটে জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া দরখাস্ত নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে লিজকৃত জায়গার ওপর স্থিতাবস্থা চাওয়া হয়েছে। রিটে ভূমি সচিব, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ওসি রমনাকে বিবাদী করা হয়েছে।