• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

রিজার্ভ নামবে ফের ৩০ বিলিয়ন ডলারে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৩, ০৪:১৫ পিএম
রিজার্ভ নামবে ফের ৩০ বিলিয়ন ডলারে

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে। এর কারণ, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে। 

বুধবার (৫ জুলাই) আকুর এই অর্থ পরিশোধ করার কথা রয়েছে। গত মে মাসেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। এরপর বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগিদের বাজেট সহায়তার কারণে রিজার্ভ বেড়েছিল।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র জাকির হোসেন বলেন, “আকুর বিল পরিশোধ হবে বুধবার। গত ৩০ জুন পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসেবে আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ থাকবে ৩০ বিলিয়নের কিছু বেশি।”

জানা যায়, ৯টি দেশের আমদানির আর্থিক লেনদেনের কাজ করা হয় আকু পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে। দেশগুলো হলো, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। প্রতি দুই মাস অন্তর এই বিল পরিশোধ করতে হয়। এর আগে গত মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক আকুর ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করে। তখন রিজার্ভ ২৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “আকুর দেশগুলো থেকে আমদানি-রপ্তানি বিল দুই মাস অন্তর পরিশোধ করতে হয়। সে অনুযায়ী মে ও জুন মাসের বিল চলতি সপ্তাহের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে। আমরা সবসময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিল পরিশোধ করি।”

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “আমদানি হ্রাসের কারণে আকুতে অর্থ প্রদানের পরিমাণ কমে এসছে। একসময় বাংলাদেশ প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আমদানির বিল প্রদান করত। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে চলতি বছরের মে মাসে বিল পরিশোধের পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। আমরা আকু পেমেন্টের ক্ষেত্রে এর প্রভাব দেখতে পাচ্ছি। গত বছরের মে-জুনে আমদানির জন্য প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার দিতে হয়েছে। আমদানি কম আসায় এ বছরের একই সময়ে ১ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি পরিশোধ করতে হবে।”

২০২১ সালের আগস্টে দেশের রিজার্ভ রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। এরপর করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের সময়টায় আমদানি কমতে থাকা এবং ধীরে ধীরে রেমিট্যান্স কমতে থাকায় কমে যায় রিজার্ভ। একই সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়। ওই পরিস্থিতিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাঁচাতে সরকার গত বছরের মাঝামাঝি বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যে কারণে এলসি খোলার পরিমাণও কমে অসে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ৯ মাসে (জুলাই-মে) এলসি খোলার পরিমাণ ২৫% চেয়েও কমে দাঁড়ায় ৬২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার; যেখানে এর আগের অর্থ বছরের একই সময়ের পরিমাণ ছিল ৮৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার।

গত সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশের পণ্য রপ্তানি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৬৭% থেকে বেড়ে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৫২ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার ছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে; যা আগের অর্থবছরের চেয়ে বেশি।

 

 

Link copied!