• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মুড়িকাটা পেঁয়াজ সরবরাহে কমেছে দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৯:৫৯ পিএম
মুড়িকাটা পেঁয়াজ সরবরাহে কমেছে দাম

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহে কমতে শুরু করেছে ভারতীয় ও পুরানো দেশি পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাহিদা অন্যান্য পেঁয়াজের তুলনায় বেশি।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়। সেখানে ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ থেকে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ নিয়ে আসছেন এসব এলাকার পাইকারি বিক্রেতারা।

কারওয়ান বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। অথচ ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ১২০ ও দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১৪০ টাকা।

ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলে দেশের বাজারে বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। এসময় দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২০০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা।

এর আগে বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে।

কারওয়ান বাজারে কথা হয় মকলেসুর রহমান নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, “বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের কারণে অন্যান্য পেঁয়াজের দাম কমেছে। বাজারে স্বস্তিও ফিরেছে। কিন্তু আগের দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না। আগে ৬০ টাকা পেঁয়াজ কিনতাম। সিন্ডিকেটের কারণে দুইশ টাকার উপরে পেঁয়াজ কিনেছি। বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়লে সমস্যায় পড়তে হয়।”

খোরশেদ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “পেঁয়াজের দাম এখনো বেশি। মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৫০০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) চায়। আগের দামে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়া শুরু হয়নি। তবে অস্থিরতা কিছুটা কমছে। কিন্তু আগে ৯০ টাকার নিচে বিক্রি হতো।”  

পেঁয়াজ বিক্রেতা সালাম বলেন, “মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহের পর অন্যান্য পেঁয়াজগুলোর দামও কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও কমেছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাহিদাও বেশি। ভারতীয় পেঁয়াজ সারাদিনে ৫০ কেজি বিক্রি করা কঠিন। ততক্ষণে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৭০ কেজি বিক্রি হয়।”

আব্দুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “বাজারে যতটুকু পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ। কারণ দাম কম।”

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, “চাহিদার ৮০ শতাংশ পেঁয়াজ আমাদের দেশেই উৎপাদন হয় এবং ২০ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর পর ঘণ্টায় ঘণ্টায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়। অনেক ব্যবসায়ী গোডাউনে পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখে পেঁয়াজের বাজার আরও অস্থির করার একটি পাঁয়তারা তারা করেছিল। এর বিরুদ্ধে সারা দেশেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করেছে।”

Link copied!