বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, “দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট এবং চলতি বছর ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৫ হাজার মেগাওয়াট।”
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এসব তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ দিনের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
নসরুল হামিদ বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বপ্ন, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন মহাপরিকল্পনার আওতায় উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কার্যক্রম নিবিড় তদারকিকরণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে দেশে ক্যাপটিভ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট। গত ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। ২০০৮ সালে সরকার দায়িত্ব গ্রহণকালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট ও প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট।”
বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান নসরুল হামিদ।
পদক্ষেপগুলো হলো, বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে গ্রহণ; বিদ্যুৎ উৎপাদনে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন, বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ প্রণয়ন, দ্রুততার সঙ্গে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ প্রণয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি বহুমুখীকরণ, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে শতভাগ অগ্রগতি নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন বিকল্প অর্থায়ন ব্যবহার; উৎপাদিত বিদ্যুৎ সুষ্ঠুভাবে সঞ্চালন ও বিতরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সঞ্চালন ও বিতরণ প্রকল্প গ্রহণ; অফগ্রিড এলাকা বিদ্যুতায়নে সোলার হোম সিস্টেম ও সোলার মিনিগ্রিড কার্যক্রম বাস্তবায়ন; নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রকল্পসমূহ যথাসময়ে বাস্তবায়ন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের সমস্যাসমূহ দ্রুত চিহ্নিত করে তার সমাধান করা।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, “বর্তমানে দেশে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৮ জন। গত ২০২১-২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মোট আয় ২৯ হাজার ১০৪ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা। মোট ব্যয় ২৯ হাজার ২৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা এবং নিট ক্ষতি ৫২৩ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা।
আপনার মতামত লিখুন :