• ঢাকা
  • রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩০, ১৭ শা'বান ১৪৪৬

দারিদ্র্যের হার ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে : তথ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম
দারিদ্র্যের হার ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে : তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “আমাদের দারিদ্র্যের হার মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের বেশি থেকে এখন ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে। বিশ্বে আমরা ৩৫তম জিডিপির দেশ। আর পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি বা পিপিপিতে আমাদের অর্থনীতি হচ্ছে ৩১তম। এখন জিডিপির আকারে মালয়েশিয়ার চেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ আমাদের। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ২৭তম অর্থনীতির দেশ হবে।”

সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চলচ্চিত্রের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “দিন দিন আমরা উন্নতি লাভ করছি। বস্তুগত বা অবকাঠামোগত উন্নতির পাশাপাশি মানুষের আত্মিক উন্নতিও প্রয়োজন। আর আত্মিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে চলচ্চিত্র। এমন সব সিনেমা বানানো হোক তা যেন মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখতে পারে এবং তা বিনোদনের পাশাপাশি দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখে, মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে। তাহলে সেই সব সিনেমা বিনোদনের পাশাপাশি দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে, রাষ্ট্রকে জাগ্রত করতে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।”

দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৫৭ সালের এই দিনে তৎকালীন তরুণ নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদে বিল উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি অনুধাবন করেছিলেন যে, সংস্কৃতির সব শাখার সন্নিবেশে যা সৃষ্টি হয় তা হলো চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে গান থাকে, নৃত্য থাকে, চলচ্চিত্র সব শাখার সন্নিবেশ ঘটায়। জাতির পিতা সবকিছু তখনই অনুধাবন করেছিলেন বলেই বিলটি উপস্থাপন করেছিলেন।”

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার আমাদের চলচ্চিত্রশিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এ জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সিনেমা হল নির্মাণ এবং পুরোনো হল সংস্কারের জন্য সহজ শর্তে ১ হাজার কোটি টাকার এক বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই দরখাস্ত করেছেন। অনেকে সিনেপ্লেক্স চালু করেছে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলও চালু হয়েছে। দুই বছর করোনা মহামারির বেড়াজালে আবদ্ধ না থাকলে আরও সিনেমা হল চালু হতো।”

চলচ্চিত্রে অনুদানের পরিমাণ ও সংখ্যা বেড়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “এফডিসিতে নতুন দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ চলছে, সেখানে চারটি শুটিং স্পট থাকবে এবং একজন নির্মাতা সেখান থেকে একটা সিনেমা বানিয়ে মুক্তি দিতে পারবে। এ ছাড়া চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য নেওয়ায় ১০০ একর জায়গায় চলচ্চিত্র নির্মাণের সব সুবিধা সৃজন করা হচ্ছে।”

বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, পরিচালক মতিন রহমান, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এর আগে বিএফডিসি চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে তথ্যমন্ত্রী দিবসটির সূচনা করেন। এরপরই চলচ্চিত্র অঙ্গনের শিল্পী-কুশলীদের সঙ্গে মন্ত্রী র‌্যালিতে অংশ নেন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। চলচ্চিত্র তারকা রোজিনা, অঞ্জনা, পরিচালক কাজী হায়াৎ, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, শিল্পী-কলাকুশলী ও কর্মকর্তারা কর্মসূচিতে যোগ দেন।

Link copied!