• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল


সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৪, ১১:২১ এএম
শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল

লাখো বাঙালির রক্তে অর্জিত স্বাধীনতার আজ ৫৪ বছর। ১৯৭১ সালে শুরু হওয়া ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এই দিনে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল বাঙালি জাতি। তাই তো বছর ঘুরে এই দিনটি এলেই সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের। শ্রদ্ধা আর ফুলে ভরে যায় সৌধের বেদি। যাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা, সেই বীর সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে জাতি।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান। এরপর শহীদ বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক

এ সময় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এরপর দেশি-বিদেশি কূটনীতিক ও রাজনৈতিক নেতাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সৌধ প্রাঙ্গণ।

এর পর পর্যায়ক্রমে প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক দল, প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা জানান।

সকালেই ফুলে ফুলে ভরে ওঠে স্মৃতিসৌধের বেদি। আর লাল-সবুজের পতাকায় ছেয়ে যায় সৌধ প্রাঙ্গণ।

পোশাক শ্রমিক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আমরা দিনভর কারখনায় কাজের চাপে থাকি। বছরে দুই বার আমরা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা বীর শহীদদের স্মরণ করার সুযোগ পাই। আজ তাই পুরো পরিবার নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এখানে আসলেই গর্বে বুকটা ভরে যায়। তবে অন্যান্য বারের মতো এবার লোকসমাগম অনেক কম হয়েছে। রমজান মাস হওয়ায় লোকজন কম এসেছে স্মৃতিসৌধে।”

রাজধানী থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা হুমায়ন কবির বলেন, “আমরা যুদ্ধ করতে পারিনি। কিন্তু যারা যুদ্ধ করেছেন, দিয়েছেন দেশের জন্য প্রাণ, তাদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা প্রয়োজন। তাই  শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।”

গাজীপুরের একটি স্কুলের শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এই দিনটাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এলে অনেক ভালো লাগে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারলে আত্মা তুষ্টি পায়। আমার মতো অনেকেই গাজীপুর থেকে আজ স্মৃতিসৌধে এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। রমজান মাস হওয়ায় সাহরি খেয়ে না ঘুমিয়েই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হয়েছি।”

শ্রদ্ধা জানাতে আসেন দিন ইসলাম। তিনি জানান, যাদের আত্মত্যাগে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাদের স্মরণ করতে স্মৃতিসৌধে এসেছেন।

অন্যদিকে  রুবিয়া নামে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী  বলেন, “আমরা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছি। নয় মাস যুদ্ধের পরে আমরা বিজয়ী হয়েছি। কিন্তু অনেকেই জীবন দিয়েছিল এই স্বাধীনতার জন্য। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। ”

এদিকে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরাসহ সাদা পোশাকেও পুলিশের নজরদারি রাখা হয়েছে সৌধ এলাকায়।

Link copied!