• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আরও এক ধাপ কমল ডলারের বিপরীতে টাকার মান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৩, ০২:১৮ পিএম
আরও এক ধাপ কমল ডলারের বিপরীতে টাকার মান
ফাইল ছবি

বৈদেশিক রিজার্ভ থেকে বিক্রির ক্ষেত্রে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে টাকার মান কমল আরও এক ধাপ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ১ আগষ্ট থেকে নতুন এই রেটে ৬৯ মিলিয়ন ডলার বিক্রি হয়েছে।

এ নিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৃতীয়বারের মতো টাকার মান কমল। চলতি বছরের জুলাইয়ে ডলারের রেট ছিল ১০৯ টাকা। গত এক বছরে দেশে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ১৫ টাকা ৫ পয়সা।

ব্যাংক সূত্র অনুযায়ী, এক বছর আগের ডলারের দাম ৯৫ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে হিসাব করলে এই অবমূল্যায়ন প্রায় ১৬ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তব্যাংক রেটে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। ডলারের আন্তব্যাংক রেট ৫০ পয়সা বেড়েছে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির রেট বাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) সোমবার মার্কিন ডলারের বিনিময় হার সমন্বয় করেছে। দুটি সংস্থার ঘোষণা অনুযায়ী নতুন আন্তব্যাংক ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে রপ্তানিকারকরা বর্তমানে প্রতি ডলার পাচ্ছেন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা করে, যেখানে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ডলার রেট ১০৯ টাকা এবং আমদানি নিষ্পত্তির জন্য লেনদেন চলছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।

সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত রেট অনুযায়ী ডলার বিক্রি করছে। সোনালী ব্যাংক ডলার পরিচালনা এবং সময়মতো আমদানি ঋণ পরিশোধের চেষ্টা করছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে রিজার্ভ থেকে ১.১৫ বিলিয়ন ডলার বিক্রি হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে বিক্রি হয়েছিল ১৩.৫৮ বিলিয়ন ডলার । এসব কারণে, যেখানে গত বছরের জুলাইয়ের শেষে মোট রিজার্ভ ছিল ৩৯.৬০ বিলিয়ন ডলার, তা সোমবার ২৯.৭২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। তবে এটি পুরোনো হিসাব অনুযায়ী। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের নির্দেশিকা অনুসারে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন মোট রিজার্ভ ২৩.৩০ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটে। মাত্র এক দিনে টাকার মান কমে ২ টাকা ৮৫ পয়সা। এদিন বাংলাদেশ ব্যাংক ১০৮ টাকা ৮৫ পয়সা রেটে ডলার লেনদেন করে। এরপর ডলার রেট বাড়িয়ে ১০৯ টাকা করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া উদ্যোগগুলোর লক্ষ্য হলো একটি সমন্বিত এবং বাজারচালিত বিনিময় হার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমানোর জন্য একাধিক বিনিময় হার প্রক্রিয়া বন্ধ করা ও ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি মেনে চলা।

চলতি অর্থবছরের নতুন মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূত ও বাজারচালিত একক বিনিময় হার ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে টাকা এবং মার্কিন ডলার, বা অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রার মধ্যে বিনিময় হার মার্কেট ফোর্সের মাধ্যমে নির্ধারিত হতে পারবে।

Link copied!