• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সারা দেশে ১০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩, ০২:৫৭ পিএম
সারা দেশে ১০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ৪২ হাজার ১৪৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ১০ হাজার ৩০০টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ (অতি গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইসি সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের এই তালিকা তৈরি করা হয়। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই লাখ ১৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ৪ লাখ ৭২ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এবারের নির্বাচনে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন।

এবারের নির্বাচনে এক হাজার আটশর বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারে সহিংসতার ঘটনায় এরই মধ্যে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছে।

৩০০টি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৭ নিরাপত্তা সদস্যের একটি দল মোতায়েন করা হবে।

মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অস্ত্রধারী দুইজন পুলিশ, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী একজন আনসার, ১০ জন আনসার, লাঠি হাতে একজন বা দুইজন গ্রামপুলিশ সদস্যসহ ১৫-১৬ জনের একটি দল সব সাধারণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবে। তবে প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের ক্ষেত্রে (যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত) অস্ত্রসহ তিন পুলিশসহ ১৬-১৭ জনের একটি দল থাকবে।

মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরের সব ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ১৫ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল। যার মধ্যে অস্ত্রধারী তিন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী আরেকজন আনসার এবং ১০ জন আনসার সদস্যের দল প্রতি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র হলে ১৬ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল পাহারা দেবে এবং অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য সংখ্যা তিনজনের পরিবর্তে চারজন হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর এখন চলছে প্রচার-প্রচারণা, যা শেষ হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। এক দিন বিরতি দিয়ে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্বচ্ছ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে চলবে ভোটগ্রহণ।

Link copied!