• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বৃষ্টিতে কমেছে বিক্রি, চিন্তায় বেপারীরা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম
বৃষ্টিতে কমেছে বিক্রি, চিন্তায় বেপারীরা

রাজধানীতে বৃষ্টির কারণে হাটগুলোতে আসা গরুর বেপারীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বেপারিরা বলছেন, বৃষ্টি নামার কারণে হাটে ক্রেতার সংখ্যা একেবারে কমে গেছে। যেসব ক্রেতা আছেন, তারাও আশানুরুপ দাম বলছেন না।

বুধবার (২৮ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে রাজধানীতে দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে হাটগুলোতে ঢুকতে বেকায়দায় পড়ছেন ক্রেতারা। শহরের বেশির ভাগ হাটেই এমন চিত্র দেখা যায়। ক্রেতা, বিক্রেতা ও দর্শনার্থী সবাই ভিজেছেন। কোনো কোনো হাট বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। হাঁটু পানিতে রাখা হয়েছে পশু। ক্রেতাদের হাটে ঘুরতে হচ্ছে কাদা পেরিয়ে। সব মিলে বৃষ্টিতে নাকাল হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা।

গরু কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাফায়েত সংবাদ প্রকাশকে বলেন, দেশি গরুই প্রতিবার কোরবানির জন্য কিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে, গরুর খাবারের দাম বৃদ্ধির প্রভাব এবার গরুর দামেও পড়েছে। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম অনেক বেশিই হাঁকাচ্ছেন বেপারীরা। ভেবেছিলাম সকালে বৃষ্টির কারণে গরুর দাম কিছুটা কমবে, কিন্তু বাজারে এসে সেটা দেখা যায়নি। যে গরু আগে ৬০ হাজার টাকায় কিনেছি, সেই একই ওজনের গরু এখন লাখ টাকা।”

মগবাজার থেকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠের হাটে গরু কিনতে আসা নাসির হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বৃষ্টির কারণে হাটে একেবারে কাদা-গোবরে নাজেহাল অবস্থা। ঠিকভাবে পশু দেখা যাচ্ছে না।”

কুষ্টিয়া থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী স্বপন কুমার বলেন, “মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে হাটে ক্রেতা সমাগম কম। যারা হাটে আসছেন, তারা দাম জানতে চেয়ে চলে যাচ্ছেন, কিনছেন না। বিকেলের মধ্যে বৃষ্টি কমে গেলে আশা করি আবার পশুর বেচা-কেনা জমে উঠবে।”

এবার ঈদুল আজহায় রাজধানীতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ২০টি হাটে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু। এবার ঢাকায় কোরবানির পশুর চাহিদা ২৫ লাখের বেশি। 

Link copied!