• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝাঁজ কমছে না দেশি পেঁয়াজের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩, ০৯:০৬ পিএম
ঝাঁজ কমছে না দেশি পেঁয়াজের

ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পরও বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কমছে না। বর্তমানে ভোক্তারা এক কেজি পেঁয়াজ কিনছেন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। চলতি মাসের প্রথম দিকে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ওঠার পর আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।

শুক্রবার (১৬ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের কয়েকটি ধরন পাওয়া গেছে। মানভেদে দামেও আছে ভিন্নতা। খুচরায় মানভেদে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শিকদার মিয়া বলেন, “পাইকারি বাজার থেকে দেশি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭২ টাকায়। আর খুচরা বাজারে এই পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৮০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারের ঢোকার পরও দাম কমছে না। যদিও এ পেঁয়াজ বাজারে আসার আগে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি পর্যায়ে থেকে আমরা কিনতাম ৯০-১০০ টাকায়। এখন বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আসায় দেশি পেঁয়াজের দাম কমে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকায়। আমি মনেকরি দেশি পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকার কম হওয়া উচিত।”

তিনি বলেন, “বর্তমানে আলু বিক্রি করছি প্রতি কেজি ৪০ টাকায়। এই দাম শুনলে অনেক ক্রেতা গরম হয়ে যান। কিন্তু আমরা কী করব? পাইকারি বাজার থেকে আজ (১৬ জুন) আলু কিনেছি প্রতি কেজি ৩৫ টাকায়। তো সেখানে ৫ টাকা মিনিমাম লাভ তো আমাদের করতে হয়।”

হাজারীবাগ এলাকার মুদি ব্যবসায়ী মাসুদ পারভেজ বলেন, “আমার দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৫০ টাকা কেজি, আর দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকায়। তবে ভারতের পেঁয়াজ বেশিরভাগই নষ্ট পড়ছে। সামনে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে। কারণ বাজারে এখন যথেষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আছে। আর ভারতীয় রসুন বিক্রি করছি ১৫০ টাকা কেজি এবং দেশি রসুন ১৪০ টাকায়। বাজারে এখন দেশি আদা পাওয়া যাচ্ছে যার দামও অনেক বেশি। প্রতি কেজি দেশি আদা ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।”
তবে আমদানি হওয়ার পরেও বাজারে পেঁয়াজের দামে সন্তুষ্ট নন ক্রেতারা। খিলগাঁও বাজারে পেয়াজ কিনতে এসেছিলেন সোলাইমান সবুজ নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, “বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। যদিও পেঁয়াজ রান্নায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।”

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে সরকার যে পেঁয়াজ আমদানি করেছে তার বেশিরভাগই নিম্নমানের। ফলে ক্রেতারা দাম বেশি হলেও ভাল মানের দেশি পেঁয়াজ কিনছেন। যে কারণে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আসার পরও দেশি পেঁয়াজের দাম কমেনি। আর বাজারে ভাল মানের আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ আসলে কোরবানির ঈদের আগেই সব ধরনের পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।

Link copied!