• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

‘সরকার দাম কমালে আমরাও কমাবো’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম
‘সরকার দাম কমালে আমরাও কমাবো’

রমজান উপলক্ষে মূল্যবৃদ্ধির বদনাম থেকে বের হতে চান ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে সরকার দাম কমালে তারাও কমাবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “সরকার দাম কমালে আমরাও কমাবো। জিনিসপত্রের দাম একবার বাড়লে ব্যবসায়ীরা আর কমান না৷ এই বদনাম থেকে আমরা বের হতে চাই। আমরা ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দিতে চাই এবার রোজায় আমরা দাম বাড়াবো না।”

এ সময় দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, “নিত্য পণ্যের বাজারে যা কিছুই হোক, ব্যবসায়ীদের দোষ। এটা থেকে বের হতে হবে। দাম বাড়ার অনেক কারণ থাকে। বাজার নষ্ট হওয়ার অনেক কারণ থাকে, অনেক পক্ষ যুক্ত থাকে। কোনো ব্যবসায়ীর দোষ থাকলে তাকে শাস্তি দেন।”

সভায় রমজান মাস উপলক্ষে চিনি আমদানিতে ভ্যাট ও ট্যাক্স মওকুফ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চিনি ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার যদি চিনিতে ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফ করে দেয় তাহলে অনেক কম দামে চিনি বিক্রি করা যাবে। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে চিনির দাম কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে এ সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।

এদিকে গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরএ) বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চিনির নতুন যে দাম নির্ধারণ করেছিল তারও সমালোচনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

সেসময় কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি ১০৭ ও প্যাকেটজাতের দাম ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। তবে বাজারে ১২০ টাকা কেজির নিচে চিনি মেলে না।

সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, “চিনির বর্তমান নতুন যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি কে বা কারা করেছে আমরা জানি না। এখানে পাইকারি বা খুচরা পর্যায়ের দাম আলাদা করে দেওয়া হয়নি। তাই দামটা সঠিকভাবে নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।”

ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলেন, “বাংলাদেশে ভোজ্য তেল সরবরাহে কয়েকটা গ্রুপের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া লোজ তেলের চাহিদাও আছে। রমজান মাসে বিভিন্ন কারণে ভোজ্য তেলের চাহিদা বাড়ে। সে অনুযায়ী তেল পাইপলাইনে আছে। রোজায় ভোজ্য তেলের কোনো সংকট হবে না।”

সভায় চাল, ডাল, মসলা ব্যবসায়ীসহ জতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এইচ এম সফিকুজ্জামান, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!