৯ ডিসেম্বর, শুক্রবার ২০তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। এই বছর দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব’। দিবসটিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও নানা কর্মসূচিতে পালন করছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং ৪৯৫টি উপজেলায় বড় পরিসরে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
এই দিবস উপলক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ সবাইকে দুর্নীতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশে সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং পিকেএসএফসহ অন্যান্য এনজিওতে দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সারা দেশে দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রদর্শনী, মানববন্ধন, সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, সামাজিক সংগঠন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সাধারণ জনগণ সেখানে অংশ নেবেন।
এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে সকাল ৬টার মধ্যে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন দৃশ্যমান ও উন্মুক্ত স্থানে দুর্নীতিবিরোধী ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে। সকাল ৮টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি উদ্বোধন করা হবে।
এদিকে সকাল ৯টা ০ মিনিটে রাজধানীর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়েছে। সরকারি দপ্তর বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রতিনিধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা, দুদকের প্যানেল আইনজীবী, বিএনসিসি, গার্লস গাইড ও স্কাউটসের সদস্যরা, পিকেএসএফের প্রতিনিধি এবং এনজিও ব্যুরোর প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেবেন।
সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সেখানে উপস্থিত থাকবেন। আরও থাকছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
দুদকের পাশাপাশি এই দিবস পালন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ঘোষণা করে জাতিসংঘ। সারা বিশ্বকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যেই ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অ্যাগেইনেস্ট করাপশনের (আনকাক) মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংস্থাটি।
২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন শুরু করে বাংলাদেশ। সরকারিভাবে ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি পালন শুরু হয়।