• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মশা নিধনে বিটিআই কীটনাশক প্রয়োগ করছে ডিএনসিসি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম
মশা নিধনে বিটিআই কীটনাশক প্রয়োগ করছে ডিএনসিসি

এডিস মশা নিধনে দেশে প্রথমবারের মতো বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস (বিটিআই) নামক কীটনাশক প্রয়োগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৬ আগস্ট) থেকে ডিএনসিসির প্রতি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে নগর ভবনের হল রুমে মশক নিধনে প্রথমবারের মতো কীটনাশক বিটিআই প্রয়োগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে তাজুল ইসলাম বলেন, “২০১৯ সালে দেশে প্রথম ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব বাড়ে। বর্তমান ১২৯টি দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দেখা দিয়েছে। কলকাতায় শতশত লোক মারা গেছেন। অনেক ক্ষতির পর কলকাতা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করেছে। গত বছর সিঙ্গাপুরে ৩২ হাজার লোক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৯ জন মারা যায়।”

তিনি বলেন, “ডেঙ্গুকে হালকা করার দেখার সুযোগ নেই। জনপ্রতিনিধিদের কাজের কোনো সীমা নেই। তাই কাউন্সিলরদের আরও বেশি কাজ করতে হবে। সামান্য একটা মশার কামড়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ মারা যাচ্ছে। এখন আমাদের ঘরে বসে থাকার সময় নেই।”

এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বা লার্ভা জন্মানোর মতন উপযুক্ত পরিবেশ আছে এ রকম বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিস আদালতকে বড় অংকের জরিমানার করার গুরুত্বারোপ করেন তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “নানাভাবে সতর্ক করার পরও মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলার মতো অসচেতনতাকে ক্ষমা করার সুযোগ নেই।”

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা কল সেন্টার করেছি। আমাদের টার্গেট হলো, ডিএনসিসি এলাকার প্রত্যেককে ফোন কলের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করা। আমরা কাউন্সিলরের মাধ্যমে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের খুব দ্রুত ১০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিতে হবে। স্থায়ীভাবে ১০টি অঞ্চলে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট দেন। সরকারি-বেসরকারি যে ভবনগুলো রয়েছে, সেগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অনেক বড় এলাকা।”

বিটিআই এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা মশার লার্ভা ধ্বংস করে। এটি যখন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে যায়, এর বিষক্রিয়া লার্ভার পরিপাকতন্ত্র ধ্বংস করে। লার্ভা পরে আর কিছুই খেতে পারে না। একপর্যায়ে না খেয়েই লার্ভাগুলো মরে যায়। জমে থাকা পানি, জলাধার বা ড্রেনে অর্থাৎ মশার লার্ভার জন্মস্থানে লার্ভিসাইডিংয়ের মাধ্যমে বিটিআই প্রয়োগ করা হয়।

Link copied!