• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি রয়েছে ৩.৭১ শতাংশ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২, ০৬:৩২ পিএম
বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি রয়েছে ৩.৭১ শতাংশ

বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি রয়েছে ৩.৭১ শতাংশ এবং বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতি জ্বালানি সংকটকে আরও ত্বরান্বিত করছে বলে মনে করেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

তিনি আরও বলেন, “নবায়নযোগ্য জ্বালানির পর্যপ্ত ব্যবস্থা থাকলে বিশ্ববাসীকে এই সংকট দেখতে হত না। সামগ্রিক বিবেচনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।”

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের কনফারেন্স রুমে  “Dialogue with Media Road to COP27: The Importance of Transition to Clean Energy” শীর্ষক কর্মশালায় আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার এসব কথা বলেন।

ক্যাপস, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির আয়োজনে এবং পরিবেশ উদ্যোগ ও সেভ আওয়ার সির সার্বিক সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, “বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি রয়েছে ৩.৭১ শতাংশ। বর্তমান বৈশ্বিক যে যুদ্ধ পরিস্থিতি হচ্ছে জ্বালানি সংকটকে আরও ত্বরান্বিত করছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির পর্যপ্ত ব্যবস্থা থাকলে বিশ্ববাসীকে এই সংকট দেখতে হতো না।”

ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশের ১৩টি স্থানে চলমান বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প ও পাশাপাশি সৌরশক্তিসহ বায়োগ্যাসের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। যার মাধ্যমে ২০৩০ ও ২০৪১ সালে জ্বালানি লক্ষ্যমাত্র অর্জন করা সম্ভব।”

সচেতনতা ও আইনি বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে সবুজ জ্বালানিতে প্রবেশ করতে পারবে বাংলাদেশ বলে দাবি করেন তিনি।

কপ২৭ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এবার ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিয়ে জোরালো আলোচনা হবে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।”

প্রেস ইন্সটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, “পরিবেশ বিষয়ে কর্মশালার উদ্যোগ নিয়েও করতে পারিনি। আপনাদের সহযোগিতা থাকলে নিয়মিত এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে পিআইবি। ইতোমধ্যে আমরা উপকূলীয় ও হাওর সাংবাদিকতা নিয়ে কর্মশালা সম্পন্ন করেছি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে অনেক বেশি কাজের সুযোগ রয়েছে।”

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী বলেন, “পরিবেশ বিষয়ক গবেষণার টার্মগুলো সবার বোধগম্য নয়। এগুলো সাংবাদিকরাই সবার জন্য বোধগম্য করে তুলতে পারে যা উন্নয়নে সহায়ক হবে।”

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মারুফা গুলাশান আরা বলেন, “ক্যাপসের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়, এই ধরনের কর্মশালাগুলো সাংবাদিকদের কাজের জন্য সহায়ক। কপ২৭ এর মতো পরিবেশগত সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাজ করা উচিত।”

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, মার্সেড, যুক্তরাষ্ট্রের পিএইচডি গবেষক ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. হুমায়ন কবির বলেন, “বর্তমান পৃথিবীর ৭০ ভাগ গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হয় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। তাই, জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস বা প্রশমিত করার জন্য প্রথম পদক্ষেপ হওয়া দরকার জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্যতে রূপান্তর। কপ-২৭ পৃথিবীব্যাপি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মারুফা গুলাশান আরা, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদা পারভীন, প্রভাষক মাহমুদা ইসলাম এবং প্রভাষক হুমায়ুন কবির।

Link copied!