• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
অর্থবিল পাস

বাধ্যতামূলক ২ হাজার টাকা করের বিধান বাতিল


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩, ১১:১২ এএম
বাধ্যতামূলক ২ হাজার টাকা করের বিধান বাতিল

রিটার্ন দাখিলে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা করের বিধান বাতিল করে অর্থবিলের সংশোধনী পাস করা হয়েছে জাতীয় সংসদে।

রোববার (২৫ জুন) কয়েকটি সংশোধনীসহ অর্থবিল ২০২৩ পাস হয়েছে।

এদিন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। সরকারের আর্থিক প্রস্তাব কার্যকর করা এবং কিছু আইন সংশোধন করতে এই বিল আনা হয়। বিলে ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু অর্থবছরের জন্য আর্থিক বিধান, বিদ্যমান কতিপয় আইন সংশোধনসহ কর প্রস্তাবসমূহ অনুমোদন করা হয়।

অর্থবিলে বলপয়েন্ট কলম তৈরিতে প্রস্তাবিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিল পাসের প্রক্রিয়ায় জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর সরকারি দলের শহীদুজ্জামান সরকার, সেলিম আলতাফ জর্জ, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মুজিবুল হক, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, রওশন আরা মান্নান, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং গণফোরামের মোকাব্বির খান আলোচনায় অংশ নেন।

অর্থমন্ত্রী অর্থবিলের ওপর আনীত সংশোধনী তালিকা নম্বর ২ এবং ২ (ক) এর কয়েকটি প্রস্তাব গ্রহণ করেন। বাকি প্রস্তাবগুলো কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।

অর্থমন্ত্রী তার সমাপনী বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন, “আমাদের এবারের বাজেটের মূল দর্শন, ২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ব্রেইনচাইল্ড সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ। তাই আমরা বাজেটের প্রতিটি খাতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনায়, আমরা দেশের জনগণকে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন ভাতার হার বৃদ্ধি করেছি। আমরা দেশের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আনতে পেরেছি। প্রায় ১ কোটি পরিবারকে বিনা মূল্যে বা স্বল্প মূল্যে খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ‘উন্নয়ন অর্থনীতির কারিগর’, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের বাংলাদেশকে মাত্র ১৪ বছরে ৬০তম অবস্থান থেকে ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত করে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও জ্ঞানভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করা।”

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনার অসীম সাহস ও দূরদর্শী নেতৃত্বে সব চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিণত করে, আপনাদের সবার সহযোগিতায়, দেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাব, ইনশা আল্লাহ।”

Link copied!